নাগরিকত্ব প্রমাণ করার জন্য নথিপত্র দেখাতে পারেননি। তাই আসামে ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দী ছিলেন ৬০ বছর বয়সী এক মহিলা। কোকরাঝোড় জেলায় বন্দী থাকা সেই মহিলা মারা গেলেন মঙ্গলবার। সরকারি সূত্রে খবর, তিনি ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে বন্দী ছিলেন। তাঁর ক্যানসার হয়েছিল। এই নিয়ে আসামে ডিটেনশন ক্যাম্পে মারা গেলেন ৩০ জন।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম রাবেদা বেগম ওরফে রোবা বেগম। তিনি ডিমা হাসাও জেলায় থাকতেন। অনুপ্রবেশকারীদের আটকে রাখার জন্য অসমে মোট ছ’টি ডিটেনশন সেন্টার আছে। সেগুলি বিভিন্ন জেলের অভ্যন্তরে অবস্থিত। সেখানে এখন ৮০০ জন বিদেশি আটক আছেন।
গত বছর লোকসভা ভোটের আগেই শোরগোল উঠেছিল গোয়ালপাড়া ডিটেনশন শিবিরে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে এক বাঙালির। সচিত্র ভোটার তালিকা থাকা সত্ত্বেও ২০১৭ সালে বিদেশি হিসেবে তাঁকে ঘোষণা করে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল। বন্দী করা হয় গোয়ালপাড়ার এক শরণার্থী শিবিরে। ভোট মিটেছে। আসামের জাতীয় নাগরিক পঞ্জির চূড়ান্ত তালিকাও প্রকাশিত হয়েছে। বাদ পড়েছে ১৯ লক্ষ মানুষের নাম। যাঁরা নিজেদের নাগরিক হিসেবে প্রমাণ করতে পারেননি, তাঁদের ভবিতব্য কী? এই প্রশ্নটাই ঘুরপাক খাচ্ছে আসামের বুকে সেই তালিকায় নাম না ওঠা কয়েক লাখ মানুষের মনে। তাহলে কি ঠাঁই হবে ডিটেনশন ক্যাম্পে?
জাতীয় নাগরিক পঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের আগে থেকেই ডিটেনশন ক্যাম্প বানানো কাজ শুরু দেয় রাজ্য সরকার। রাজ্যে নানা প্রান্তে অন্তত ১০টি শরণার্থী শিবির রয়েছে। তবে এই শিবিবের আকার-আয়তন প্রকাণ্ড। নাগরিকত্ব বিল থেকে লাখ লাখ মানুষের নাম বাদ পড়তে পারে ভেবেই হয়তো আগাম পরিকল্পনা করেই রাখা হয়েছিল।