গোটা দেশেই ক্রমশঃ ছড়াচ্ছে মারণ ভাইরাস করোনা। সেই ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহেই হরিয়ানার এক প্রৌঢ়কে রাখা হয়েছিল আইসোলেশন ওয়ার্ডে। আর সেখানে ভর্তি থাকা অবস্থাতেই মর্মান্তিক মৃত্যু হল বছর ৫৫-র সেই প্রৌঢ়ের। জানা গেছে, গত ১ এপ্রিল জ্বর নিয়ে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল কল্পনা চাওলা মেডিক্যাল কলেজের আইসোলেশন ওয়ার্ডে। সোমবার ভোর চারটে নাগাদ বেশ কয়েকটি চাদর ও প্লাস্টিককে লম্বা করে বেঁধে হাসপাতালের ছ’তলা থেকে ঝুলিয়ে দেন ওই ব্যক্তি। তারপর জানলা দিয়ে গলে চাদর ধরে নীচের দিকে নামতে গিয়ে ছিঁড়ে পড়ে যান। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
সেই মৃত ব্যক্তির শরীরে কোভিড-১৯ পজিটিভ রয়েছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। সোমবার সন্ধেবেলা সেই রিপোর্ট হাতে পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে কল্পনা চাওলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত, হরিয়ানায় এখনও পর্যন্ত ৮৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে। রবিবারই পিজিআইএমআর হাসপাতালে এক করোনা আক্রান্ত প্রৌঢ়ের মৃত্যুও হয়েছে।
গতকালই জানা গিয়েছিল দিল্লীর অল ইন্ডিয়া মেডিক্যাল সায়েন্সেস হাসপাতালে ভর্তি এক যুবক পাঁচতলা থেকে ঝাঁপ দেন। গুরুতর জখম হলেও তাঁর প্রাণ সংশয় নেই বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এর আগে ঠিক একইরকম ঘটনা ঘটেছিল দিল্লীর সফদর জং হাসপাতালে। সেখানেও করোনা আতঙ্কে এক ব্যক্তি হাসপাতাল থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। এবার সেই ঘটনা ঘটল হরিয়ানাতেও। এই গোটা ঘটনায় হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।