গোটা দেশে লক ডাউন। বন্ধ বাস-ট্রেনের মত সমস্ত যাত্রীবাহী পরিবহন। চালানো হচ্ছে শুধুমাত্র ইমার্জেন্সি পরিষেবার গাড়ি। যার ফলে কীভাবে, কবে বাড়ি ফিরতে পারবেন, আদৌ ফিরতে পারবেন তো? এমনই চিন্তায় কাতর হয়ে পড়েছিলেন ভগবানপুর থানার মহম্মদপুর গ্রামের বাসিন্দা বকুল সাউ। আর সেই চিন্তা করেই শেষ অবধি আত্মঘাতী হলেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাতে ঘর থেকে উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ। শুক্রবার সকালে মহম্মদপুর গ্রামে এই খবর এসে পৌঁছতেই শোকের ছায়া নেমেছে তাঁর পরিবারে।
হরিয়ানার কাসোলাতে এক ঠিকাদারের অধীনে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন বকুল সাউ(৫৯)। জানা গেছে, করোনা রুখতে ২৪ মার্চ লক ডাউন ঘোষণার পর ট্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আর বাড়ি ফিরতে পারেননি তিনি। তারপর থেকেই ভয়ে ভাবনায় গুটিয়ে ছিলেন। বাড়ির লোকেদের সঙ্গে কথা বলার সময়েও এই দুর্ভাবনার কথা বলতেন। বকুলবাবুর ছেলে জয়দেব সাউ বলেন, ‘বাবা যে বাড়ি ফিরতে না পেরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন, তা বুঝতে পারতাম আমরা। কিন্তু আমাদেরও তো কিছু করার ছিল না। তবে এমন কাণ্ড ঘটবে তা ভাবতে পারিনি।’
বৃহস্পতিবার রাতে হরিয়ানার কাসোলাতে যে ঘরে থাকতেন তিনি, সেখান থেকেই তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার বকুলবাবুর সহকর্মীদের থেকে টেলিফোনে দুঃসংবাদ তাঁর পান বাড়ির লোক। জানা যায়, ক্রমশঃ মানসিক অবসাদে শারীরিকভাবেও একটু অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। এভাবে ভিন রাজ্যে শ্রমিকের আত্মহত্যার খবরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।