গতবছরের আগস্টে, আজ থেকে প্রায় আট মাস আগে জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ করে কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের তকমা তুলে নিয়েছিল কেন্দ্র। সেই সঙ্গে গোটা রাজ্য ভেঙে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ নামে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলও গঠন করা হয়। আর এবার কারা আসলে কাশ্মীরের নাগরিক, তা নির্ধারণ করার জন্যও নতুন নির্দেশিকা জারি করা হল কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। প্রসঙ্গত, রাজ্য ভাগের পর এত মাস কেটে গেলেও জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা থাকলেও লাদাখে এখনও কোনও বিধানসভা গঠন করা হয়নি।
নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘কোনও ব্যক্তি যিনি কমপক্ষে ১৫ বছর জম্মু ও কাশ্মীরে বাস করেছেন অথবা কমপক্ষে সাত বছর সেখানে পড়াশুনা করেছেন এবং জম্মু ও কাশ্মীরের কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে দশম/দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা দিয়েছেন, তিনিই কাশ্মীরি বলে গণ্য হবেন।’ এছাড়াও যেসব ব্যক্তি বর্তমানে কাশ্মীরের বাইরে থাকেন অথচ তাদের বাবা-মা নাগরিকত্বর শর্তগুলি পূর্ণ করেছেন, তারাও কাশ্মীরের নাগরিক বলে বিবেচিত হবেন।
৩৭০ ধারা বিলোপের আগে কে কাশ্মীরি নাগরিক তা ঠিক করত কাশ্মীরের আইনসভা এবং সেখানে রাজ্য সরকারের চাকরি এবং জমি কেনার অধিকার শুধু কাশ্মীরিদেরই থাকত। নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যে সব ব্যক্তি যারা সরকারি কর্মী, অল ইন্ডিয়া সার্ভিস কর্মী, পাবলিক সার্ভিস ইউনিয়ন কর্মী, ব্যাঙ্ক, সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির কর্মী বা যেকোনো সরকারি দফতরের কর্মী যারা দশ বছর বা তার অধিক সময় কাশ্মীরে কাজ করছেন তাঁরা এবং তাঁদের সন্তানরাও কাশ্মীরের নাগরিক।