আরও এক জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এ রাজ্যে। বেলঘরিয়ার ওই বাসিন্দার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট এসে পৌঁছেছে নাইসেড থেকে। তাতেই জানা গেছে, কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত তিনি। ৫৭ বছরের প্রৌঢ় বেলঘরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
জানা গেছে, এলাকায় একটি ফাস্টফুডের দোকান আছে তাঁর। ২৩ তারিখ জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হন হাসপাতালে। তিনি অবশ্য আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন, ওই হাসপাতালেই ডায়ালিসিস চলত তাঁর। ২৩ তারিখ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সাত দিন পরে ৩০ তারিখ তাঁর লালারসের নমুনা পাঠানো হয় নাইসেডে। মঙ্গলবার পজ়িটিভ রিপোর্ট আসে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত দু’মাসে বেলঘড়িয়ার বাইরে কোথাও যাননি তিনি। এখন সকলের মাথাব্যথার কারণ হল, বাইরে না গিয়েও তবে কী করে সংক্রামিত হলেন এই প্রৌঢ়। তাহলে কি সামাজিক সংক্রমণ শুরু হয়ে গেছে? ইতিমধ্যেই যে বেসরকারি হাসপাতালে প্রৌঢ় ভর্তি, সেই হাসপাতালের দু’জন চিকিৎসক, নার্স ও কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মীকে হাসপাতালেই কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে আক্রান্ত প্রৌঢ়র পরিবারের সদস্যদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁরা যেন বাড়ি থেকে না বেরোন। পরে স্বাস্থ্যভবনের নির্দেশ অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে।
এই ঘটনার আগে, আজ, মঙ্গলবার সকালেই খবর আসে, রাজ্যে তিন জন নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। প্রথম জন মেদিনীপুরের নিজামপুর গ্রামের বাসিন্দা। গত ২২ মার্চ মুম্বই থেকে ফেরেন। বাড়ি ফিরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে ভর্তি করে নমুনা পাঠানো হয়, আজ ধরা পড়ে করোনায় আক্রান্ত তিনি। তাঁর খবর আসার পরেই জানা যায় টালিগঞ্জের এক মহিলা ঢাকুরিয়া আমরি হাসপাতালে ভর্তি আছেন, তিনিও করোনাভাইরাসে সংক্রামিত বলে জানিয়েছে এসএসকেএমের রিপোর্ট। তৃতীয় জন, পঞ্চাশের বেশি বয়সের এক ব্যক্তি ভর্তি আছেন সল্টলেক আমরি হসপিটালে। তাঁর শরীরেও সংক্রমণ মিলেছে। বেলা বাড়তেই চতুর্থ আক্রান্তের খোঁজ মিলল।