শুধুমাত্র রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে নিরাপদ আশ্রয় দিলেই চলবে না। একইসঙ্গে সেখানে পরিযায়ী শ্রমিকদের পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থাও করতে হবে। সাথেও খেয়াল রাখতে হবে যাতে তাঁরা সবরকম চিকিৎসা পরিষেবা পান। দরকার পড়লে তাঁদের মনোবল বাড়াতে কাউন্সেলিংও করা হবে। ব্যবস্থা করতে হবে ভজন-কীর্তন, নমাজেরও। এদিন কেন্দ্রীয় সরকারকে এমনই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
করোনার প্রকোপে গত সপ্তাহে গোটা দেশে টানা ২১ দিনের লক ডাউন ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এমন পরিস্থিতিতে নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। গত কয়েক দিনে তাঁদের মধ্যে থেকে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন। কর্মস্থলে দু’বেলার খাবার জোগাড় করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ানোয়, কেউ পায়ে হেঁটে আবার কেউ সরকারের ব্যবস্থা করে দেওয়া গাড়িতে চাপাচাপি করে নিজ নিজ বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। প্রচণ্ড রোদে, অনাহারে এক জনের মৃত্যু পর্যন্ত হয়।
এমনটা চললে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে এবং সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দেয়। ওই সমস্ত শ্রমিকদের কাছে যাতে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া যায়, তা নিয়েও সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। তার শুনানি চলাকালীন এ দিন সলিশিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার বেলা ১১টা পর্যন্ত রাস্তায় কোনও পরিযায়ী শ্রমিক নেই। তাঁদের মাধ্যমে সংক্রমণ যাতে না ছড়ায়, তাই সকলকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এর পরই শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি এসএ বোবডে বলেন, ‘যাঁদের মাঝপথে আটকেছেন আপনারা, তাঁরা যাতে নিরাপদে থাকেন, ঠিক মতো খাবার, ওষুধ এবং চিকিৎসা পরিষেবা পান, তা নিশ্চিত করতে হবে কেন্দ্রকেই।’ ২১ দিনব্যাপী লক ডাউনের জেরে আচমকাই অনেকে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। নিরাপদ আশ্রয় চলে গিয়েছে। নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছেন। তাঁদের মন থেকে এই ভয় দূর করতে হবে বলেও জানান প্রধান বিচারপতি।