দু’মাস বেতন পাননি তাঁরা, পাননি করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে বাঁচার মতো পর্যাপ্ত পোশাক বা ইকুইপমেন্ট। তবু সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে তাঁরাও লড়ে যাচ্ছেন করোনা-সংক্রমণের বিরুদ্ধে। প্রতিদিন ১৬-১৮ ঘণ্টা করেও গাড়ি চালাচ্ছেন কেউ কেউ। এ-প্রান্ত থেকে ও-প্রান্তে ছুটে চলেছেন রোগী নিয়ে। তাঁরা উত্তরপ্রদেশের অ্যাম্বুল্যান্স চালক। মহামারী থেকে নিজেদের বাঁচানোর পথ দেখতে পাচ্ছেন না বলে, আজ, মঙ্গলবার দুপুর থেকে ধর্মঘট ঘোষণা করেছেন তাঁরা। অ্যাম্বুল্যান্স কর্মীদের অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁদের দাবি কেউ শুনছে না, নিশ্চিত করা হচ্ছে না বেতন ও নিরাপত্তা। তাই কাজ করবেন না তাঁরা এভাবে।
সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশের ১০২ এবং ১০৮ জরুরি অ্যাম্বুল্যান্স সার্ভিস অপারেট করে জিভিকে নামের একটি বেসরকারি সংস্থা। রাজ্য সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ তারা। রাজ্যকে সাড়ে চার হাজার অ্যাম্বুল্যান্স সরবরাহ করে তারা। চালক এবং জরুরি টেকনিশিয়ান মিলিয়ে মোট ১৭ হাজার জন কাজ করেন ওই সংস্থায়। তাঁরাও বেসরকারি সংস্থাটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ।
অভিযোগ, তাঁদের অ্যাসোসিয়েশনের তরফে বারবার করে সংস্থাকে বলা হয়েছে রোগী নিয়ে যাওয়ার সময়ে তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়চি নিশ্চিত করতে। এমনকি দু’মাস ধরে তাঁরা বেতনও পাননি বলে অভিযোগ।
অ্যাসোসিয়েশনের তরফে মধুকর সিং নামের এক চালক বলেন, ‘আমাদের না আছে স্যানিটাইজার, না আছে গ্লাভস বা মাস্ক। দু’মাস ধরে বেতনও পাইনি আমরা। আমরা শুনেছি, প্রতি অ্যাম্বুল্যান্স পিছু ১৫টি করে মাস্ক দিয়েছে সরকার। আমরা পাইনি সেসব। আমাদের গাড়িগুলোও স্যানিটাইজ় করা হচ্ছে না, অথচ রোগীর পর রোগী বয়ে চলেছি আমরা। এই অবস্থায় অক্সিজেন ভরতে গেলে সেখানেও বাধা পাচ্ছি।’