এমনিতে রাজনৈতিক দিক থেকে তাঁরা সম্পূর্ণভাবে একে অপরের বিপরীত মেরুতে অবস্থান করেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি তাঁদেরও কাছে নিয়ে এল। এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় বেনজির সৌজন্য দেখালেন ওমর আবদুল্লাহ এবং নরেন্দ্র মোদী। এর আগে আগে সেভাবে সৌজন্য বিনিময় করতেও দেখা যায়নি দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে।
কিছুদিন আগেই প্রায় ৭ মাসের বন্দীদশা থেকে ছাড়া পেয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন এই মুখ্যমন্ত্রী। মোদীর প্রশাসনের সৌজন্যেই এতদিন গৃহবন্দী থাকতে হয়েছে ওমরকে। অথচ জেল থেকে মুক্তি পেয়ে সেই মোদীর দেখানো পথেই সমর্থকদের করোনা সচেতনতার পাঠ দিয়েছেন তিনি। তাও আবার এমন একটা সময় যখন তিনি কাকাকে হারানোর শোকে বিভোর। যা খোদ প্রধানমন্ত্রীকেও মুগ্ধ করেছে।
সদ্যই প্রয়াত হয়েছেন ওমর আবদুল্লার কাকা। তাঁর শেষযাত্রায় যাতে মানুষের ভিড় না হয় তা নিশ্চিত করতে টুইটারে নিজেই আবেদন করেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। সমর্থকদের বলেন, আপনারা দয়া করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। আমাদের বাড়িতে বা কবরস্থানে কেউ জমায়েত করবেন না। কঠিন সময়ে ওমরের এই বার্তা মুগ্ধ করে মোদীকে। তিনি টুইট করে ওমরকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, ‘কষ্টের সময়ে আপনার এই বার্তা প্রশংসাযোগ্য। আপনার এই উদ্যোগ করোনার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইকে শক্তি জোগাবে।’ তারপরই প্রধানমন্ত্রীর টুইটে আপ্লুত ওমর তাঁকে পালটা টুইট করে ধন্যবাদ দেন।
এরপর থেকেই প্রশ্ন উঠছে দেশের রাজনৈতিক মহলে। জাতীয় রাজনীতিতে কি তাহলে নতুন কোনো সমীকরণ দেখা যেতে পারে? বিপরীত মেরুর দুই নেতার এই সৌজন্য বিনিময় এমনই জল্পনার জন্ম দিচ্ছে। কাছাকাছি আসছেন কি মোদী এবং আবদুল্লা? কারণ, ওমর ও ফারুক আবদুল্লাহ বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেলেও মেহবুবা মুফতি কিন্তু এখনও জেলে। তবে করোনা আতঙ্কের মধ্যে এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া একপ্রকার অস্বাভাবিক।