করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের পাশে দাঁড়াতে এবার এগিয়ে এলে বাংলারই বেশ কিছু মুখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। রাজ্যের আপৎকালীন ত্রাণ তহবিলে অনুদান দিতে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে তারা। ২৭ মার্চ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলের কাছে তহবিলে অনুদান দেওয়ার জন্য আর্জি জানান। তিনি সমস্ত প্রতিষ্ঠান তো বটেই, ব্যক্তিগত ভাবেও অনুদানের অনুরোধ করেন। এরপরই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে রাজ্য সরকারের তহবিলে অনুদান দেওয়ার কথা জানানো হয়।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন এক সংবাদ সংস্থাকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি ও রেজিস্ট্রারের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছেন যথেষ্ট পরিমাণে অনুদান দেওয়ার ব্যাপারে। তবে কত টাকা তাঁরা দিচ্ছেন সে ব্যাপারে এখনও অবধি স্পষ্ট করে কিছু জানাননি উপাচার্য। তবে তিনি জানিয়েছেন, এই টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে দেওয়া হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া, অধ্যাপক ও কর্মীরা মিলেও একটি অনুদান দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন।
জানা গিয়েছে, সকলেই নিজেদের ইচ্ছামতো অর্থ অনুদান হিসেবে দেবেন। তারপর সম্মিলিত সেই অর্থ তুলে দেওয়া হবে রাজ্য সরকারের তহবিলে। এই বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে দু’টি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা চাই রাজ্য ও সাধারণ নাগরিকদের পাশে দাঁড়িয়ে করোনা ভাইরাসের সঙ্গে সম্ভাব্য সমস্ত উপায়ে লড়াই চালাতে।’
এদিকেজ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস জানিয়েছেন, ‘আমরা শিক্ষক, আধিকারিক ও কর্মীদের অনুরোধ জানিয়েছি করোনা মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রীর তহবিলের জন্য অনুদান জমা দিতে।’ তিনি জানান সকলে যা অনুদান করতে চান তা মেল করে জানিয়ে দেবেন উপাচার্যকে। পরে সেই পরিমাণ অর্থ প্রত্যেকের এপ্রিলের বেতনের থেকে কেটে নেওয়া হবে।
ঠিক একইরকম উদ্যোগ নিয়েছে সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ও। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফাদার ফেলিক্স রাজ জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই অনুদানের টাকা তহবিলে জমা দেওয়া হবে। সেই প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। এরই পাশাপাশি শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা সকলেই নিজেদের একদিনের বেতন দান করবেন অনুদান হিসেবে। কলেজের প্রিন্সিপাল ড. ডমিনিক সেভিও এসজি জানিয়েছেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ৪০ লক্ষ টাকা রাজ্য সরকারের ত্রাণ তহবিলে দান করার।’