করোনা মোকাবিলায় দেশজুড়ে লকডাউন জারি হয়েছে। বৃহস্পতিবার লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেও রাজ্যের বিভিন্ন সবজি বাজারে ভিড় জমিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। মুখ্যমন্ত্রী বারবার অনুরোধ করেছেন সবাইকে, কেউ যেন আতঙ্কে হুড়োহুড়ি করে জিনিসপত্র না কেনেন। তবুও কেনাকাটার ধুম লেগেছে সবার মধ্যে। এবার সটান পোস্তা বাজারে সারপ্রাইজ ভিজিটে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা-সহ সহ বাকি পুলিশ আধিকারিক এবং টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের সঙ্গে হালহকিকত দেখলেন তিনি। পাইকারি সবজি বাজার যেন খোলা থাকে, নাহলে খুচরো ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়বেন। তাই পুলিশ আধিকারিকদের নজর রাখার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
https://www.facebook.com/ekhonkhobor18/videos/207270830561753/
এরপর জানবাজারে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে গ্রাহকদের হুড়োহুড়ি রুখতে এবং দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা করার জন্য নিজে হাতে রাস্তায় গোল করে ইট দিয়ে লক্ষ্মণরেখা টেনে দেন মমতা। যা দেখে রীতিমতো হতবাক হয়ে যান সবজি বিক্রেতারা। কীভাবে কতটা দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়াতে হবে গ্রাহকদের তা রাস্তায় এঁকে বুঝিয়ে দেন মমতা। এদিন তিনি পোস্তা বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন। পোস্তা বাজার যেন বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত রোজ খোলা থাকে, নির্দেশ তাঁর। দোকানে অযথা ভিড় যাতে নাহয় তা দেখার নির্দেশ দেন পুলিশকে। পাশাপাশি পাইকারি বাজারে সবজি-আনাজ যাঁরা আনেনে তাঁদের যেন ছাড় দেওয়া হয় সেই কথাও বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পুলিশকে জানিয়েছেন, ব্যবসায়ীদের একটা পাস করে দেওয়ার জন্য। সারা রাজ্যের ক্ষেত্রে একইরকম পাস নির্ধারিত থাকবে। সেই পাস দেখালে ছাড় দেওয়া হবে রাস্তায় চলাচলে।
একইসঙ্গে তিনি পুলিশ আধিকারিক ও টাস্ট ফোর্সের সদস্যদের দেখতে বলেন যাতে, পাইকারি সবজি বাজার যেন খোলা থাকে। নাহলে খুচরো ব্যবসায়ীরা অসুবিধায় পড়বেন। ভোগান্তি হবে গ্রাহকদের। এরপর জানবাজারে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে গ্রাহকদের হুড়োহুড়ি রুখতে এবং দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা করার জন্য নিজে হাতে রাস্তায় গোল করে ইট দিয়ে লক্ষ্মণরেখা টেনে দেন মমতা। যা দেখে রীতিমতো হতবাক হয়ে যান সবজি বিক্রেতারা। কীভাবে কতটা দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়াতে হবে গ্রাহকদের তা রাস্তায় এঁকে বুঝিয়ে দেন মমতা।