করোনা মোকাবিলায় গতকাল রাতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত গোটা দেশে লক ডাউন ঘোষণা করেছেন। তাঁর ঘোষণা করার পরেই ময়দান জুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে জোর আলোচনা। তাহলে কি এবার ময়দানের বহু প্রাচীন রীতি বারপুজো হবে না? না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবে বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে দুই প্রধানের কর্তারা ব্যাপারটাকে খোলা মনে মেনে নিচ্ছেন। তারপরেই জোর জল্পনা, ময়দানের চিরাচরিত বারপুজো এবার সম্ভবত বন্ধ হচ্ছে।
ময়দানে বারপুজো পয়লা বৈশাখে হওয়াই রীতি। ময়দানের ইতিহাসে এই পুজো বরাবর ক্লাবগুলোর কাছে অত্যন্ত গুরুত্ব পায়। তাই এবারও ১৫ এপ্রিল বা পয়লা বৈশাখ এই পুজো হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করে দিয়েছেন, ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত গোটা দেশে লক ডাউন থাকবে। এই সময়ের মধ্যে কোনও মানুষ ঘর ছেড়ে বাইরে বেরোতে পারবেন না। বর্তমান পরিস্থিতি যদি বদলায় তাহলে ১৫ এপ্রিল লকডাউন উঠে যেতে পারে। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বারপুজো করা যে সম্ভব হবে না, তা ধরেই নেওয়া যায়।
আসলে করোনা ভাইরাসের কাছে বাঙালির ঐতিহ্য এইমুহূর্তে ভেঙে চৌচির। তবে দুই প্রধানের কর্তারা ব্যাপারটাকে খোলা মনে মেনে নিচ্ছেন। মোহনবাগান সচিব সৃঞ্জয় বোস বলেন, ‘মানুষের মঙ্গলের জন্য বারপুজো করা হয়। প্রধানমন্ত্রী লক ডাউনের কথা ঘোষণা করেছেন মানুষের মঙ্গলের জন্য। তাই ভাল কিছু হলে সেটা মানতে দোষ কোথায়? সার্বিক পরিস্থিতি মেনে নিতেই হবে। যদি শেষমেশ বারপুজো না হয় তাহলে আর কী করা যাবে।’
অন্যদিকে, ইস্টবেঙ্গল অন্যতম শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকারের গলাতেও একই সুর। তিনি বলে দেন, ‘মানছি, করোনা নামক ভাইরাস ডিফেন্ডারের কাছে হয়তো আটকে যাবে বারপুজো। একটা কথা মানতেই হবে, সবকিছুর ঊর্ধ্বে মানুষের জীবন। সুস্থ থাকলেই তো খেলাধুলো, বাণিজ্য, সবকিছু চলবে।’ সুতরাং মারণ ভাইরাসের জন্য ঐতিহ্যের সঙ্গে সমঝোতা করতেই হবে।