রাজ্যে করোনা মোকাবিলায় প্রথম থেকেই সচেষ্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কাজে ইতিমধ্যেই সন্তোষ জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু-এর বাংলার কো-অর্ডিনেটর ডাঃ প্রীতম রায়। করোনা রুখতে বাংলার সরকারের নেওয়া পদক্ষেপে যে কেন্দ্রও গর্বিত বোধ করছে সে কথাও কবুল করেছেন খোদ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব প্রীতি সুদান। তবে বিলেত ফেরত কলকাতার এক যুবকের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ও তাঁর থেকে তাঁর পরিবারের তিন সদস্যের শরীরে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে, এ ব্যাপারে আরও সাবধানতা জরুরি। আর তারপর থেকে করোনা সংক্রমণ রোধে আরও বেশি তত্পরতা দেখিয়েছে রাজ্য সরকার। দ্রুত সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক সব বিভাগের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ রাখছেন তিনি। বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে সেই সব বয়স্ক মানুষদের ক্ষেত্রে যাঁরা সম্প্রতি বিদেশ থেকে ফিরেছেন।
সামনে এল তেমনই এক প্রৌঢ় দম্পতির অভিজ্ঞতা। মেয়ের সঙ্গে নিউজিল্যান্ডে দেখা করতে গিয়েছিলেন বেহালার এই ষাটোর্ধ্ব দম্পতি। কিন্তু করোনা আতঙ্কের জেরে অস্ট্রেলিয়া থেকেই ফিরে আসতে হয়েছে তাঁদের। সিঙ্গাপুর হয়ে তাঁরা ফেরেন নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। তবে সেখান থেকে ফ্ল্যাটে ফেরা হয়নি তাঁদের। সতর্কতা হিসেবে বিমানবন্দর থেকেই তাঁদের সরকারি উদ্যোগে নিয়ে যাওয়া হল রাজারহাটের কোয়ারেন্টাইনে। ১৪ দিন সেখানেই থাকার নির্দেশ। কেমন অভিজ্ঞতা সরকারি কোয়ারেন্টাইনে থাকার? তাঁদের কথায়, ‘সরকারের তরফে আমাদের খেয়াল রাখা হচ্ছে। সময়ে সময়ে সুস্বাদু খাবার চলে আসছে। যাঁদের ডায়াবিটিস বা হার্টের সমস্যা অথবা অন্য কোনও অসুখ রয়েছে তাঁদেরও সময় মতো ওষুধও দেওয়া হচ্ছে, তাও একেবারেই বিনামূল্যে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক কোনও কিছুরই কোনও অভাব রাখেনি রাজ্য সরকার। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ। তাঁকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমি এবং আমার স্ত্রী।’