করোনা নিয়ন্ত্রণে কলকাতা-সহ সমস্ত পুর শহরগুলিতে কাল থেকে চলছে লকডাউন। রাস্তা ঘাট ফাঁকা। আইন ভেঙে যাতে কেউ রাস্তায় বেরোতে না পারেন তার জন্যে চলছে পুলিশের অতন্দ্র প্রহরা। লক ডাউনের মধ্যে রাস্তায় বেরিয়ে আড্ডা দেওয়া বা জটলা করার জন্য গতকাল রাতেই কলকাতায় ২৫৫ জনকে আটক করেছিল কলকাতা পুলিশ।আর আজও সেই একই ছবি। রাস্তায় বেরোলেই ধরপাকড় চলছে পুলিশের।
পুলিশের এ ধরনের ভূমিকায় খুশি হয় না মানুষ। কিন্তু মঙ্গলবার যে ছবি দেখা গিয়েছে তাতে সাধারণ মানুষের গরিষ্ঠ অংশই সন্তুষ্ট। অনেকেরই মত হল, লক ডাউন যাতে ষোল আনা সফল হয় সে জন্য পুলিশের এতোটাই সক্রিয় থাকা উচিত। কারণ, লক ডাউন সত্ত্বেও যাঁরা রাস্তায় বেরোচ্ছেন তাঁরা নিজে ঝুঁকি তো নিচ্ছেনই বাকিদের তথা গোটা সমাজকেও ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছেন। সুতরাং কাউকেই রেয়াত করা উচিত নয়।
আজ মঙ্গলবার পুলিশের অভিযানের তীব্রতা ছড়িয়ে পড়ল উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায়। বারাসত, বসিরহাট, কাটোয়া থেকে শুরু করে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি পর্যন্ত একই ছবি। এদিন সকালে বসিরহাটের ইটিন্ডা রোডে রেজিস্ট্রি অফিসের মোড়ে অটো-টোটোতে চেপে লোককে যাতায়াত করতে দেখা যায়। তা দেখেই কর্তব্যরত পুলিশ কর্তারা লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যান। একই ছবি দেখা যায় কাটোয়াতেও। সেখানে লকডাউন অমান্য করে অবাধে রাস্তায় ঘুরে বেরানো লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় পুলিশ। কমবেশি ৪১ জনকে আটক করা হয়। সেই সঙ্গে টোটো, অটো, রিকশা এবং বেশ কয়েকটি মোটরবাইক আটক করে পুলিশ।