বাঁশবেড়িয়া মাতা হংসেশ্বরী মন্দির। সপ্তাহান্তে ঘুরে আসাই যায়। গঙ্গার ঘাট থেকে অল্প দূরেই সুদৃশ্য এই মন্দির। চার দিক পরিখা দিয়ে ঘেরা।
১৯ শতকের গোড়ার দিকে রাজা নৃসিংহ দেব রায় এই মন্দিরটি স্থাপণা করেন। তাঁর বিধবা স্ত্রী রানী শঙ্করী ১৮১৪ সালে এই মন্দিরটি নির্মাণকাজ শেষ করেন।
স্থাপত্যের দিক দিয়ে এই মন্দিরটি বাংলার আর পাঁচটি মন্দিরের থেকে স্বতন্ত্র। মন্দিরটির ১৩টি চূড়া। প্রত্যেকটি বিকশিত পদ্মের কুঁড়ির আকারে গঠিত। এই মন্দিরে ১৩টি গর্ভস্থ কক্ষ একে অপরের সাথে সরু পথের দ্বারা যুক্ত। কথিত আছে এই ১৩ টি কক্ষ দেহতত্ত্বের অনুকরণে তৈরি। এই মন্দিরে মা কালী দেবী হংসেশ্বরী রূপে পূজিত হন।
এই মন্দিরের প্রাঙ্গনের মধ্যেই রয়েছে আরো পুরাতন একটি মন্দির। অনন্ত বাসুদেব মন্দির। এই মন্দিরটি ১৬৭৯ সালে শ্রী রামেশ্বর দত্ত সম্পূর্ণ করেন। মন্দিরটি টেরাকোটা নকশা দিয়ে সাজানো।
কিভাবে যাবেন?
নিজের গাড়ি থাকলে আপনি আড়াই থেকে তিন ঘন্টার মধ্যে কলকাতা থেকে মন্দিরে পৌঁছে যাবেন। রেলপথে ব্যান্ডেল স্টেশনে নেমে রিকশা বা টোটো করে মন্দিরে পৌঁছতে পারবেন। ত্রিবেণী আর ব্যান্ডেলের ঠিক মাঝখানে মন্দিরটি। ফেরার পথে ব্যান্ডেল চার্চ আর ইমামবাড়া দেখে নিতে পারবেন। একটু ভোরের দিকে বেরোলে সেই দিন সন্ধ্যার মধ্যেই কলকাতা ফিরে আসতে পারবেন।