করোনা আতঙ্কের মাঝে বালুরঘাটে নিজের গ্রামে ফিরতেই বাঁধার মুখে পড়লেন ভিনরাজ্যে কর্মরত এক যুবক। বাধ্য হয়ে এলাকার একটি মন্দিরে আশ্রয় নেন তিনি। খবর পেয়ে তাঁকে উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে কোয়ারেন্টাইনে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর সু্স্থই রয়েছেন ওই ব্যক্তি।
এপ্রসঙ্গে স্থানীয় অরিন্দম ঘোষ বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই বোল্লা কালী মন্দির সংলগ্ন নাটমন্দিরে রাতে থাকছিল ওই যুবক। স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। জেলাশাসক নিখিল নির্মল জানান, বিষয়টি নজরে আসতেই ব্লক মেডিক্যাল অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই যুবককে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্যদিকে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে জানান, বর্তমানে ওই যুবক সুস্থ রয়েছেন।
জানা গিয়েছে, বালুরঘাট থানার বোল্লা আদিবাসী পাড়ার বাসিন্দা ওই যুবক দীর্ঘদিন ধরেই রাজস্থানে শ্রমিকের কাজ করতেন। স্ত্রী ও ছেলে থাকেন অন্যত্র। সপ্তাহ খানেক আগে গ্রামে ফেরেন তিনি। কিন্তু এলাকায় পৌঁছতেই তাঁর পথ আটকান গ্রামবাসীরা। তাঁকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় যে, গ্রামে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। এরপরে গ্রামের আশেপাশে ঘোরাফেরা করেন ওই যুবক। বাধ্য হয়ে স্থানীয় বোল্লা কালী মন্দির সংলগ্ন নাটমন্দিরের শেডে থাকতে শুরু করেন। বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসতেই খবর যায় পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে। প্রাথমিকভাবে তাঁরা দেখে গেলেও যুবকের চিকিৎসার কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। অবশেষে বিষয়টি জেলাশাসকের নজরে পড়ে। তার হস্তক্ষেপেই যুবককে উদ্ধার পাঠানো হয় কোয়ারেন্টাইনে।