গতকালও বন্দীদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে উত্তাল হল দমদম সেন্ট্রাল জেল। শনিবারের মতো রবিবারও জেলের ভিতর অগ্নিসংযোগ করা হয়। চালানো হয় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি। পুরুষ বন্দীদের আক্রমণে আহত হয় কয়েকজন মহিলা কারারক্ষী। গুলি লাগে দুই পুরুষ বন্দীর পায়ে ও দুই মহিলা বন্দীর শরীরে। শনিবারের ঘটনার তদন্ত চলাকালীন ফের একবার অশান্তিতে প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা।
সূত্রের খবর, শনিবারের সংঘর্ষে যে ৪ জনের মৃত্যু হয়ছে তাঁদের দু’জনের মুখে এতটাই আঘাত লেগেছে যে, দেহ শনাক্ত করা যাচ্ছে না। সিআইডির টিম তদন্ত শুরু করেছে। আভ্যন্তরীণ তদন্তও শুরু করেছে কারা দফতর। শনিবার পরিস্থিতি শান্ত হতেই রাত একটার পর ওয়ার্ডে ঢোকানো সম্ভব হয় বন্দীদের। রাতে জেলে কোনও রান্না হয়নি। অনেকেই মুড়ি খেয়ে কাটায়।
তারমধ্যেই রবিবার সকাল থেকে নতুন করে গোলমাল শুরু হয়। করোনা আতঙ্কে প্যারোলে মুক্তি দিতে হবে, এই দাবিতে এদিন ২০ নম্বরের কাছে অনশন শুরু করে বিচারাধীন বন্দীরা। শনিবারে কারারক্ষীদের উপর হামলার ঘটনার পর থেকে গোলমাল চলছিল। কারারক্ষীদের তরফ থেকে বন্দীদের খাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তাতে বন্দীরা রাজি না হওয়ায় খাবারের হাঁড়ি ও কড়াই কয়েকজন কারারক্ষী উল্টে দেন বলে অভিযোগ মিলেছিল। এর পরই নতুন করে গোলমাল বাঁধে।
এর মধ্যেই কিছু বন্দী চলে যায় দমদম জেলের মহিলা ওয়ার্ডে। মহিলা ওয়ার্ডের বাইরে পাহারায় থাকেন মহিলা রক্ষীরা। অভিযোগ, বেশ কিছু পুরুষ বন্দী হাসপাতাল থেকে ঘুমের ওষুধ খেয়ে নেশা করেই ঢুকে পড়ে মহিলা ওয়ার্ডে। সেখানে তিন মহিলা রক্ষীকে মারধর করে তাঁদের হার ছিনতাই করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযুক্তদের একাংশ মহিলা বন্দীদের সঙ্গে অভব্যতা করেছিল, এমন সম্ভাবনা পুলিশ উড়িয়ে দিচ্ছে না।