মঙ্গলবার রাতে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া যায় রাজ্যে। তারপরে রাজ্য তথা ফের শহর কলকাতায় আরও এক তরুণের শরীরে মেলে নোভেল করোনা ভাইরাসের হদিশ। তিনি বালিগঞ্জের অভিজাত আবাসনের বাসিন্দা। গত ১৩ মার্চ লন্ডন থেকে শহরে ফেরেন ওই তরুণ। তার পর জ্বর এবং সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ দেখা দেওয়ায় গৃহ পর্যবেক্ষণে ছিলেন তিনি। পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাঁর লালারসের নমুনা পাঠানো হয় নাইসেডে। শুক্রবার তার রিপোর্ট আসার পর জানা যায়, তিনি করোনা আক্রান্ত। প্রত্যেককেই গৃহ পর্যবেক্ষণে থাকতে বলা হয়। তাঁর বাবা-মা, জেঠু, দাদু-দিদিমা-সহ আত্মীয় স্বজনের উপর নজর রাখে স্বাস্থ্য দফতর। এবার পরীক্ষা করে আক্রান্ত ওই তরুণের বাবা মা এবং বাড়ির পরিচারিকাদের দেহেও মিলল করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব। এই নিয়ে কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৭।
আক্রান্ত ওই তরুণের পরিবারের ১১ জনকে রাজারহাট কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। তাঁদের লালারসের নমুনা পাঠানো হয়েছিল ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব এন্টেরিক অ্যান্ড কলেরা ডিজ়িজ় (নাইসেড)-এ। সেখানেই ওই তরুণের বাবা-মা এবং পরিবারের এক পরিচারিকার শরীরে কোভিড-১৯ ভাইরাস ধরা পড়েছে বলে রবিবার স্বাস্থ্যভবন সূত্রে জানা গিয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, ওই যুবক ও তাঁর পরিবার দায়িত্বশীল আচরণ না করার জন্যই সংক্রমণ ছড়িয়েছে।
করোনা নিয়ে পরিস্থিতি ক্রমশই জটিল হচ্ছে। ইতিমধ্যে ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩১৫। মৃত্যু হয়েছে মোট ৭ জনের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আগামীকাল থেকে কলকাতা-সহ সমস্ত পুর-শহর গুলিতে লক ডাউনের ঘোষণা করা হয়েছে।তবে মহানগরীর বুকে যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে তা যথেষ্ট উদ্বেগজনক।