করোনা সংক্রমণ রুখতে এবার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে ভারত। সেই উদ্দেশে রবিবার সকাল সাতটা থেকে রাত ন’টা পর্যন্ত জনতা কারফিউ পালন করা হচ্ছে। এর চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে ৩১ মার্চ পর্যন্ত রাজস্থানে লকডাউন ঘোষণা করলেন সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। সেই পথে হেঁটে রবিবার পাঞ্জাবেও সম্পূর্ণ লকডাউনের ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। ফলে ৩১ মার্চ পর্যন্ত রাজ্যে বন্ধ থাকবে সমস্ত পরিষেবা। শুধুমাত্র সবজি, দুধ এবং ওষুধের দোকান-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দোকানগুলিকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, রাজ্যের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেন গেহলট। লকডাউন প্রসঙ্গে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই সময়ে সকল সরকারি অফিস, শপিং মল, কারখানা, গণপরিবহন ইত্যাদি বন্ধ থাকবে।’ জানা গিয়েছে, রাজ্যে কোভিড-১৯ জীবাণু ২৫ জন ব্যক্তির শরীরে মিলেছে। আরও ৪০ জন রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছেন। শনিবার ৮০ জনেরও বেশি ব্যক্তির ইতিবাচক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রাজস্থান সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এদিকে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, লক ডাউনের সময় রাজ্যের মানুষের খাবারের অভাব হবে না। যারা জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের অন্তর্গত তাঁদের মে মাস পর্যন্ত বিনামূল্যে গম সরবরাহ করা হবে। এমনকী দৈনিক মজুর, রাস্তার দোকানদারদের জন্য বিনামূল্যে খাবারের প্যাকেট দেওয়ার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন একই পথে হাঁটল উড়িষ্যাও। আজ উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক ঘোষণা করে দিলেন রাজ্য-এর সবকটি বড় শহর যেমন কটক, কেন্দ্রপাড়া, ভদ্রক, ক্ষুরধা, সম্বলপুর, পুরী, বালাসোর প্রভৃতি বেশ কয়েকটি শহর লক ডাউন করা হবে ২২শে মার্চ সকাল সাতটা থেকে ২৯শে মার্চ রাত্রি ৯ টা পর্যন্ত। এই কয়েকটা দিন রাজ্যবাসীকে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। পাশাপাশি সিল করে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের সমস্ত সীমান্তবর্তী এলাকা।