করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হল আরও ১ ভারতীয়র। ২১ শে মার্চ থেকে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। শনিবার গভীর রাতে মৃত্যু হয় তাঁর। করোনাভাইরাসের রিপোর্ট পজিটিভ আসার পাশাপাশি ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যা ছিল ওই ব্যক্তির। এইসবের পাশাপাশি ইসকিমিক হার্টের রোগী ছিলেন তিনি। মহারাষ্ট্রের পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্টের তরফে এই তথ্য প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। করোনা সংক্রমণে দেশে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হল ৬।
জানা গিয়েছে, জ্বর-সর্দি সহ একাধিক উপসর্গ নিয়ে ২১ মার্চ মুম্বইয়ের একটি হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে। নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ আসার পরই শুরু হয় চিকিৎসা। শনিবার গভীর রাতে মৃত্যু হয় তাঁর। জানা গিয়েছে, উচ্চ রক্তচাপ ও উচ্চ শর্করা জনিত সমস্যা ছিল তাঁর।
এর আগে কর্নাটক, মুম্বই, দিল্লী এবং পাঞ্জাবে মৃত্যু হয়েছিল চার ভারতীয় নাগরিকের। পঞ্চম মৃত ব্যক্তি ছিলেন এক ইতালীয় পর্যটক। রাজস্থানের জয়পুরে মৃত্যু হয় ৬৯ বছর বয়সী ওই বিদেশি নাগরিকের। ভারতে প্রথম করোভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল কর্নাটকের বাসিন্দা ৭৬ বছরের মহম্মদ হুসেন সিদ্দিকির। জানা গিয়েছিল তীর্থ করতে সৌদি আরব গিয়েছিলেন তিনি। ফেরার পর হায়দ্রাবাদ বিমাবন্দরের থার্মাল স্ক্রিনিংয়ে কোনও উপসর্গ ধরা পড়েনি। তবে কয়েকদিন পর শ্বাসকষ্ট এবং জ্বর-সর্দি-কাশি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। এরপর কালবুর্গির এক হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। বৃদ্ধের মৃত্যুর পর আশঙ্কা ছিলই যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। মৃত্যুর পর মৃতদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা-নিরিক্ষার করে দেখা যায় সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে। এই ব্যক্তির মেয়ে এবং তাঁর চিকিৎসকের শরীরেও মিলেছে কোভিড ১৯-এর নমুনা।