প্রতিবেশী ইতালি এখন মৃত্যু উপত্যকা। আর সেই ইতালি থেকেই ট্রেন, বিমান ও বাস যাত্রীদের মাধ্যমে বা পণ্য বোঝাই ট্রাকের মাধ্যমে করোনা সংক্রামিত হয়েছে ফ্রান্স। তাই এই পরিস্থিতিতে গোটা ফ্রান্সকেই ‘লকডাউন’ ঘোষণা করেছে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরোঁর সরকার। যার ফলে আগামী কয়েক মাসেও ভারতের মাটি ছুঁতে পারবে না রাফালের বাকি বিমানগুলি। করোনার থাবায় আপাতত অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত রাফালের ভারতে প্রবেশ।
প্রসঙ্গত, মে মাসের মধ্যেই ভারতের বায়ুসেনার হাতে পাঁচটি রাফালে বিমান আসার কথা থাকলেও করোনা সতর্কতায় উৎপাদন বন্ধ রেখেছে ফরাসি সংস্থা দাসো এভিয়েশন। কারণ করোনা ভাইরাসের থাবায় এই মুহূর্তে থরহরিকম্প ফ্রান্স। বর্তমানে ফ্রান্সে করোনায় মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে হল ৩৭২। ‘লক ডাউন’ করে দেওয়া হয়েছে গোটা দেশ। কবিতার শহর প্যারিসে এখন আতঙ্কের পরিবেশ। মানুষের প্রাণ বাঁচাতে একদিকে যেমন বিদেশি পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে তেমনই দেশের মানুষের রাস্তায় বেরোনোতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাফাল সরবরাহ সম্ভব নয় বলে জানায় দাসো এভিয়েশন।
উল্লেখ্য, ২০১৬-র সেপ্টেম্বরে ফ্রান্সের সরকারের সঙ্গে চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল ভারত। মোট ৩৬টি রাফাল কেনার বিষয়ে চুক্তি হয়েছিল। ফ্রান্সের রাফাল নির্মাতা সংস্থা ‘দাসো অ্যাভিয়েশন’ জানিয়েছিল, মোট ৫৯ হাজার কোটি টাকা দামের ৩৬টি যুদ্ধবিমানের মধ্যে প্রথম চারটি ভারতে পৌঁছবে ২০২০ সালের মে মাসে। গত বছর সেপ্টেম্বরে চুক্তিমাফিক ৩৬টির মধ্যে প্রথম রাফালটি ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে এসে গিয়েছে। চলতি বছরের মে মাসের মধ্যে আরও পাঁচটি রাফালে বায়ুসেনার হাতে তুলে দেওয়ার কথা ছিল।