করোনার জেরে হয়ত এবারের মত বন্ধ হয়ে গেল আই লিগ। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, আই লিগের ভবিষ্যত ঠিক করতে ফের আলোচনায় বসবেন ৩০ মার্চ। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে ফেডারেশন কর্তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এই মরশুমে আই লিগের কোনও ম্যাচ হবে না। এএফসি ইতিমধ্যেই স্বীকৃতি দিয়ে দিয়েছে। তাই মোহনবাগানকে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করতে অসুবিধা নেই ফেডারেশনের।
তবে চাপ ছিল লিগের অবনমন নিয়ে। কিন্তু মোহনবাগান পরের মরশুমে এটিকের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে আইএসএলে খেলবে। যেহেতু মোহনবাগান থাকছে না, তাই আই লিগে একটা দল কমছে। নতুন করে অবনমন চালু করার প্রয়োজন নেই ফেডারেশনের। সেহেতু আই লিগ বাতিল করলে কোনও সমস্যায় পড়বেন না কর্তারাও।
এই মুহূর্তে করোনা নিয়ে খারাপ পরিস্থিতি দেশজুড়ে। দিল্লীতে ফেডারেশন দফতরেও চালু হয়ে গিয়েছে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’। তারমধ্যে এদিন আবার আই লিগের বাকি ম্যাচগুলি চালু রাখার যৌক্তিকতা নিয়ে চিঠি দিয়েছে রঞ্জিত বাজাজের পাঞ্জাব এফসি। রঞ্জিত দলের ফুটবলারদের ছুটি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, পরিবারের সঙ্গে থাকতে। এদিন চেন্নাই এবং নেরোকা প্রতিনিধিরাও কথা বলেন ফেডারেশন কর্তাদের সঙ্গে।
প্রত্যেকের দাবি একটাই, চ্যাম্পিয়নের সঙ্গে অবনমন যেহেতু নেই তাই বাকি ম্যাচগুলো করার যৌক্তিকতা কোথায়। আই লিগ চালু করলে, প্রত্যেককে প্র্যাকটিসে আনতে হবে। পাশাপাশি বিদেশি ফুটবলারদের কথাও ভাবতে হচ্ছে। দেশে তাঁদের পরিবার বিপদের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। তাঁরাও ভারতে থাকতে চাইছেন না। তাই ক্লাবগুলি আই লিগ বাতিল করার জন্য চাপ দিচ্ছে ফেডারেশনকে।
ফেডারেশন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে, এই অবস্থায় লিগ চালানো অসম্ভব। শুধু বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মিটিংয়ের অপেক্ষা। ৩ অথবা ৪ এপ্রিল সরকারি ভাবে আই লিগ বাতিল ঘোষণা করা হবে। সঙ্গে মোহনবাগানকে চ্যাম্পিয়ন বলে জানিয়ে দেবে ফেডারেশন। সেদিনই কলকাতায় এসে মোহনবাগান তাঁবুতে আই লিগ জয়ী ট্রফিও তুলে দেবেন ফেডারেশন কর্তারা।