লাগাতার সন্ত্রাসে কাশ্মীরের বিভিন্ন প্রান্ত ছেড়ে প্রাণ বাঁচাতে অন্যত্র পালিয়ে যেতে হয়েছিল কাশ্মীরি পণ্ডিতদের। কবে তারা নিজেদের পুরোনো বাড়িতে ফিরতে পারবেন, বা আদৌ কোনও দিন ফিরতে পারবেন কি না, সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। রূপোলি পর্দায় এই ইস্যুকেই তুলে ধরেছিলেন বিধু বিনোদ চোপড়া। এক বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা চোখের জল ফেলেছিলেন ‘শিকারা’ দেখে।
মঙ্গলবার তৃণমূল সাংসদ মালা রায়ের করা লিখিত প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্র জানিয়েছে, গত শতাব্দীর নয়ের দশকে লাগাতার সন্ত্রাসের জেরে নিজেদের বাপ দাদার ভিটে মাটি ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে ৬৪,৯৫১টি কাশ্মীরি পণ্ডিত পরিবারকে৷ কবে তাঁরা ফিরে পাবেন নিজেদের আদি বসতবাড়ি, সেই বিষয়ে নিরুত্তর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিষেণ রেড্ডি৷
কেন্দ্রীয় কাশ্মীরি পণ্ডিতদের দেখভালের জন্য কয়েকটি পদক্ষেপ করেছে৷ এর মধ্যে রয়েছে কাশ্মীর সরকারের বিভিন্ন পদে ৩০০০ লোকের কর্মসংস্থান৷ এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে গিয়ে সরকারের ১০৮০ কোটি টাকা খরচও হয়েছে বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। সর্বহারা কাশ্মীরি পণ্ডিতদের পরিবারের জন্য পরিবার পিছু প্রতি মাসে ৯ কিলো চাল, ২ কিলো আটা, আর ১ কিলো চিনি এবং প্রতি মাসে মাথা পিছু ১০০০ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি জানিয়েছে সরকার৷
সরকারের এই পরিসংখ্যান ও দাবিকেও নস্যাৎ করেছেন তৃণমূল সাংসদ মালা রায়৷ তাঁর কথায়, “সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ঘরছাড়া হয়েছে ৬৪,৯৫১টি পরিবার৷ তাঁদের মধ্যে চাকরি পাচ্ছে মাত্র ৩০০০ লোক৷ পরিসংখ্যানের মারপ্যাঁচটা কোথায় ভেবে দেখুন একবার৷ এক একটি পরিবারে কতজন লোক রয়েছে, সেই বিষয়ে সরকার কিন্তু কোনও তথ্য দেয়নি৷ পরিবার পিছু একজনের চাকরি কেন দেওয়া হল না, তা নিয়েও কোনও তথ্য দেয়নি মোদী সরকার”।