দেশে হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। শেষপাওয়া খবরে দেশে মোট আক্রান্ত ১৬৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। এই পরিস্থিতিতে ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে বৃহস্পতিবার থেকে দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিল সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন বা সিবিএসই। ৩১ মার্চের পর পরীক্ষার পরবর্তী সময়সূচি ঘোষণা করা হবে। তবে, বুধবারই সিবিএসই দশমের সব পরীক্ষা শেষ হয়েছে। কাজেই সেই নিরিখে সিবিএসসির এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে কেবলমাত্র দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ক্ষেত্রে।
প্রসঙ্গত, বুধবার একাধিক শিক্ষা নিয়ামক সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের আধিকারিকরা। তার পরই পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিবিএসই বোর্ড এবং দেশের বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছে এই মর্মে নির্দেশও পাঠিয়েছে মন্ত্রক। সিবিএসই বোর্ডের পরীক্ষার পাশাপাশি করোনাভাইরাসের জেরে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে ইউজিসি, এনআইওএস, এআইসিটিই এবং জয়েন্ট এন্ট্রাস (মেনস) পরীক্ষাও। তবে আইসিএসই বোর্ডের পরীক্ষা পূ্র্বঘোষিত সূচি অনুয়ায়ী চলবে বলে জানিয়েছেন বোর্ডের সচিব জেরি আরাথুন। মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের সচিব অমিত খারে জানান, ‘অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার মেনে চলার পাশাপাশি অবশ্যই ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষক–শিক্ষিকা, অশিক্ষক কর্মী ও পড়ুয়াদের অভিভাবকদের নিরাপদ এবং সুস্থ থাকাও প্রয়োজন। তাই আপাতত ৩১ মার্চ পর্যন্ত সমস্ত পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার বা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরে নতুন করে পরীক্ষার দিন ধার্য করা হবে।’
ইতিমধ্যেই দেশের বেশিরভাগ রাজ্যেই ৩১ মার্চ পর্যন্ত স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বাংলায় স্কুলের ছুটি বাড়িয়ে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়েছে। এছাড়াও সিবিএসই–র তরফে জারি হওয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, ১৯ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময়ে উত্তর–পূর্ব দিল্লীর পড়ুয়াদের যে পুনরায় পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল, তাও স্থগিত রাখা হয়েছে। একইভাবে বন্ধ থাকছে সিবিএসই–র বোর্ড পরীক্ষার মূল্যায়নের কাজও।