আন্তর্জাতিক বাজারে তলানিতে অপরিশোধিত তেলের দাম। তবু কেন সেই সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না দেশবাসীকে? মঙ্গলবারও লোকসভায় এই প্রশ্নে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন কংগ্রেস, তৃণমূল, ডিএমকে, এনসিপি সাংসদরা। শুধু তাই নয়। ওয়াকআউটও করেন কংগ্রেস-ডিএমকে সাংসদরা। পাশাপাশি দেশের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার মুখ থুবড়ে পড়ার কারণ খুঁজতে যৌথ সংসদীয় কমিটি(জেপিসি) গঠনের দাবিও করা হয়।
প্রসঙ্গত গত সপ্তাহে পেট্রোল ও ডিজেলে এক্সাইজ ডিউটি বা আবগারি শুল্ক বাড়িয়েছে কেন্দ্র। উল্টোদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমে ব্যারেল প্রতি ঠেকেছে ২০১৪ সালের দামে। গত বুধবার ব্যারেল প্রতি অপরিশোধিত তেলের দাম ছিল ৩৪.৭০ ডলার। যা ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের (৬৬ ডলার) তুলনায় প্রায় অর্ধেক। এই পরিস্থিতিতে দাম কমা তো দূর, বর্ধিত এক্সাইজ ডিউটির ঠেলায় মধ্যবিত্তের ওপর চাপ বেড়েছে আরও। এই প্রসঙ্গ সামনে এলেই প্রতিবাদ শুরু করেন বিরোধীরা।
তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘সৌদি আরব ও রাশিয়ার সংঘাতের ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম এতটা পড়েছে। যা ১৯৯১ সালের উপসাগরীয় যুদ্ধের পর হয়নি। অথচ পেট্রোল ও ডিজেলে লিটার প্রতি সর্বমোট ২২.৯৮ টাকা ও ১৮.৮৩ টাকা করে এক্সাইজ ডিউটি বাড়িয়েছে সরকার। ৩৯ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত আয়ের জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যা অপরাধ। জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে।’
এর পাশাপাশি ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা নিয়েও সরব হন বিরোধীরা। পাঞ্জাবের আনন্দপুর সাহিব কেন্দ্রের কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারি বলেন, ‘বর্তমানে দেশে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। ফলে ব্যাঙ্কের ওপর থেকে দেশবাসীর আস্থা উঠে গিয়েছে। যা অদূর ভবিষ্যতে দেশের অর্থনীতিতে একটা বড় প্রভাব ফেলতে পারে। দ্রুত এই অচলাবস্থা কাটাতে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার মুখ থুবড়ে পড়ার কারণ খুঁজতে ও তাকে ঘুড়ে দাঁড় করাতে যৌথ সংসদীয় কমিটি তৈরি করা হোক।’