চীন, ইরান, ইতালির মতো দেশগুলিতে তাণ্ডব চালিয়ে সম্প্রতি ভারতেও হানা দিয়েছে করোনা। এই মারণ চাইরাসের থাবায় দেশে ইতিমধ্যেই আক্রান্ত ১৪৭ জন, মৃত ৩। মৃত্যুদূতের এ হেন চোখরাঙানি দেখেই তড়িঘড়ি বড় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। কিন্তু তারপরেও করোনা নিয়ে থোড়াই কেয়ার মনোভাব দেখাচ্ছে যোগী সরকার। হ্যাঁ, রামনবমীতে উত্তরপ্রদেশে লক্ষাধিক মানুষের জমায়েতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে খবর মিলেছে এক জাতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে। যা নিয়ে রীতিমতো আশঙ্কায় দেশের চিকিৎসকরা।
জানা গিয়েছে, ২৫ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত আয়োজিত হওয়ার কথা এই রামনবমী মেলার। অযোধ্যা মামলার রায় বেরনোর পর এই প্রথম রামনবমী মেলার আয়োজন হতে চলেছে। তবে জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও কীভাবে এই মেলার আয়োজন হতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, শতাব্দী প্রাচীন এই রামনবমী মেলা আয়োজন হবে নির্দিষ্ট তারিখেই। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে করোনা ভাইরাস রুখতে জমায়েত না করার নির্দেশই দেওয়া হয়েছে।
ভ্যাটিকান সিটি-মক্কা-মদিনা-জেরুজালেমের মত বিদেশের ধর্মস্থানগুলি আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। করোনার জেরে দেশেও বেশ কিছু ধর্মস্থান বন্ধ করা হয়েছে। তালিকায় আছে সিদ্ধি বিনায়ক মন্দিরের মতো জায়গা। বড় জমায়েত এড়াতে রাজনৈতিক দলগুলিও নিজেদের বিক্ষোভ সমাবেশগুলি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমনকী, খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে বিজেপির শীর্ষ নেতাদের কেউই হোলিতে জমায়েত করেননি। কিন্তু তারপরেও যোগী সরকারের এই নাছোড়বান্দা মনোভাবে বিস্মিত নানা মহল।
জমায়েত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অযোধ্যার মুখ্য মেডিক্যাল অফিসার প্রশ্ন তুলেছেন, বিপুল সংখ্যক ভক্তদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে কী ভাবে? তাঁর কথায়, ‘জেলা প্রশাসনকে পরামর্শ দিয়েছিলাম, এই পরিস্থিতিতে মেলা বাতিল করা হোক।’ ওই পরামর্শ উড়িয়ে জেলাশাসক অঞ্জুকুমার ঝা বলেছেন, ‘এটা ঐতিহ্যের অঙ্গ। আমরা সব রকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছি। মেলা বাতিলের কোনও প্রশ্নই নেই।’