করোনার আতঙ্ক মানুষকে ঠিক কতখানি গ্রাস করেছে, তার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন কেন্দ্রীয় বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলীধরন। করোনায় আক্রান্ত এক চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করেছিলেন বলে আর কোনওরকম ঝুঁকি নেননি। মঙ্গলবার সোজা চলে গিয়েছে সেল্ফ কোয়ারেন্টাইনে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কি না জানতে পরীক্ষাও করান। এদিন রিপোর্টে জানা গেল, তাঁর শরীরে কোভি-১৯-এর জীবাণু বাসা বাঁধেনি।
গত ১৪ মার্চ ত্রিবান্দ্রমের এক মেডিক্যাল ইনস্টিটিউটে চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মুরলীধরন। সেখানেই স্পেন থেকে ফেরা এক চিকিৎসকের শরীরে করোনার জীবাণু ধরা পড়ার কথা জানতে পারেন তিনি। তারপরই দিল্লীতে নিজের বাড়িতে সেল্ফ কোয়ারেন্টাইনে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। যেভাবে করোনা প্রভাব এ দেশে বাড়ছে, সেই পরিস্থিতিতে কোনও ঝুঁকি নিতে চাননি তিনি। তবে তিনি একা নন, ওই আক্রান্ত চিকিৎসকের সহকর্মীদের অনেকেই সেল্ফ কোয়ারেন্টাইনে চলে গিয়েছেন।
কোভিড-১৯ ছড়ানো আটকাতে দেশবাসীর কাছ থেকে প্রযুক্তি নির্ভর আইডিয়া চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং। করোনা প্রতিরোধে সেরা ভাবনাগুলিকে আগামীদিনে ব্যবহার করা হবে এবং আবিষ্কারকারকদের পুরস্কৃত করা হবে বলে টুইটারে সোমবার জানান তিনি। অন্যদিকে এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর বিজেপির সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী বলেন, ‘বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ডাক্তার, নার্স, বিমানবন্দর, বন্দরকর্মীদের প্রশংসা করেছেন। একইসঙ্গে করোনা নিয়ে সতর্কতা বাড়াতে সংবাদপত্র ও বৈদ্যুতিন মিডিয়ারও প্রশংসা করেছেন।’ রাজ্যসভায় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ভূমিকা নিয়ে ভূয়সী প্রশংসা করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনও।
এখনও পর্যন্ত করোনার উৎস চিনে মৃতের সংখ্যা ৩,২১৩। ইতালিতে ২,১৫৮ জন। এদিকে সোমবার রাতে টুইট করে করোনাকে ফের ‘চিনা ভাইরাস’ বলে লিখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর বক্তব্য, ‘বিমান পরিবহণের মতো যেসব সংস্থাগুলি ক্ষতির মুখ দেখছে তাদের সহযোগিতা করবে আমেরিকা।’