বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তখন সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়। সেই সময়ে নির্দিষ্ট সময়ে পুরভোট না হওয়ায় কলকাতা পুরনিগমে বসানো হয়েছিল প্রশাসক। ওই সময়েই আবার রাজ্যের পুরমন্ত্রী ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। দেখা গিয়েছিল সেই সমটয় পুরপ্রশাসককে সামনে রেখে আদতে কলকাতা পুরনিগমের দৈনন্দিক কাজের দেখভাল করছেন স্বয়ং রাজ্যের পুরমন্ত্রী। এবার সেই ছবিটাই খুব সম্ভবত ফিরতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে। করোনা আতঙ্কের জেরে পিছিয়ে গিয়েছে পুরভোট। তাই কলকাতা-সহ রাজ্যের শাতাধিক পুরসভা ও পুরনিগমে রাজ্য সরকার বসাতে চলেছে প্রশাসক। নবান্ন সুত্রে খবর, প্রশাসক বসলেও কলকাতা ও শিলিগুড়ি এই দুই পুরনিগমের দৈনন্দিন কাজের দেখভাল করবেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। অন্তত এমনটাই নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
গতকালই রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে করোনা কাণ্ডের জেরে পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে রাজ্যের পুরনির্বাচন। এপ্রিল মাসে পরিস্থিতি দেখা পুরভোটের সম্ভাব্য দিনক্ষণ ঘোষণা করা হতে পারে। এদিকে ৫ মে কলকাতা পুরনিগমের চলতি পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। হাওড়া পুরনিগমের মেয়াদ গত বছরই সম্পূর্ণ হওয়ার পর কমিশনারই দৈনন্দিন পরিষেবা চালু রেখেছেন। একই রকম ভাবে কলকাতা পুরনিগমের দায়িত্বও কমিশনারের হাতে চলে যাবে। কিন্তু এবারে কলকাতার ক্ষেত্রে পুরো বিষয়টি রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের নিয়ন্ত্রণেই থাকবে। কার্যত পুর আইনকে মান্যতা দিয়ে পুরকমিশনার খলিল আহমেদকে সামনে রেখে মহানগরের নাগরিক পরিষেবা পরিচালনা করবেন বাংলার পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমই। শিলিগুড়ির ক্ষেত্রেও একই পথ নেওয়া হচ্ছে।
একই সঙ্গে রাজ্যের যে সব পুরসভায় ক্ষমতাসীন বোর্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে সেই সমস্ত পুরসভাতেই রাজ্যের পুরআইন অনুযায়ী প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রে খবর, অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্থানীয় বিধায়ক ও এক্সিকিউটিভ অফিসার মিলিয়ে ডিরেক্টর বোর্ড তৈরি করে দেওয়া হবে। সেই বোর্ড ভোটগ্রহণ না হওয়া পর্যন্ত ওই সব পুরসভা এলাকায় নিত্যদিনের পরিষেবার দেখভাল এক্সিকিউটিভ অফিসার হিসাবে সংশ্লিষ্ট জেলার জেলাশাসক ও মহকুমা শাসকদেরই নিয়োগ করা হবে।