হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই ভারতে মোট ১১৯ জন মারণ চীনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। কীভাবে করোনা সংক্রমণ রোখা সম্ভব, তা নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। সন্দিহান বিশেষজ্ঞরাও। এই পরিস্থিতিতে গোমূত্রকেই পথ্য হিসাবে বেছে নিলেন উত্তর কলকাতার বিজেপি নেতারা। জোড়াসাঁকোয় গোপুজো করে গোমূত্র পান করালেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। যদিও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মহলে চলছে জোর আলোচনা।
উত্তর কলকাতায় গোমাতার পুজোর আয়োজক বিজেপি নেতাদের দাবি, ‘এখনও পর্যন্ত করোনা ভাইরাস রোখার মতো কোনও ওষুধ পাওয়া যায়নি। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই মারণ চীনা ভাইরাসকে একমাত্র রুখতে পারে গোমূত্রই। তাই গোমাতার পুজো করে আমরা সকলে গোমূত্র পান করছি। সবাইকে দিচ্ছি পান করতে।’ বিজেপি নেতাদের এই দাবি ঘিরে বিভিন্ন মহলে হইচই পড়ে গিয়েছে। বেশিরভাগ মানুষ ‘কুসংস্কার’ বলে এই ঘটনাকে আখ্যা দিয়েছেন। বিজেপির এই গোমূত্র পানের বিরোধিতা করেছেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি পালটা বলেন, ‘ভারত প্রযুক্তি বিদ্যায় বিশ্বসেরা। সেই ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে গোমূত্র পান করিয়ে অবৈজ্ঞানিক বিষয়ের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে বিজেপি। আমার বিশ্বাস সাধারণ মানুষ কোনওভাবেই বিভ্রান্ত হবেন না। তাঁরা জানেন চিকিৎসা ছাড়া গোমূত্রের মাধ্যমে করোনা ভাইরাসকে ঠেকানো সম্ভব নয়।’
এর আগে গোমূত্র পার্টিরও আয়োজন করতে দেখা গিয়েছে হিন্দু মহাসভাকে। এছাড়াও করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোখার নানা দাওয়াই দিয়েও বিতর্কে জড়িয়েছেন একাধিক বিজেপি নেতা। সম্প্রতি ‘বড় মাপের করোনা ভাইরাস রুখতে কাপড় দিয়ে বাড়িতে মাস্ক তৈরির’ দাওয়াই দিয়ে হাসির খোরাক হয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এই সমস্ত প্রসঙ্গ টেনে এনে গেরুয়া শিবিরকে খোঁচা দেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কটাক্ষ, ‘যে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা গরুর দুধে সোনা খোঁজেন, তাঁরা যে গোমূত্রে করোনা সারাবেন, সে বিষয়ে আশ্চর্যের কী আছে?’