মেট্রোর কাজের নতুন করে ফাটল দেখা গেল । বউবাজারের ২৩টি বাড়ির ছাদ ও দেওয়ালে। ক্রমশ চওড়া হচ্ছে ফাটল। ইতিমধ্যেই ফাটলগুলি পর্যবেক্ষণ করেছেন কেএমআরসিএলের আধিকারিকরা। আতঙ্ক বাড়ছে স্থানীয়দের মধ্যে।
গত বছরের অগাষ্ট মাসে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সুড়ঙ্গ খোঁড়ার সময়ই ভয়ঙ্কর বিপর্যয় ঘটেছিল বউবাজার চত্বরে। একের পর এক ভেঙে পড়েছিল শতাব্দী প্রাচীন বাড়ি। সেই ঘটনার জেরে ঘরছাড়া হতে হয়েছিল একাধিক পরিবারকে। দীর্ঘদিনের ভিটে ছেড়ে তাঁদের আশ্রয় নিতে হয়েছিল হোটেল। সেই পরিস্থিতি সামাল দিয়ে ইতিমধ্যেই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর আংশিক রুটের সূচনা করা হয়েছে। সমস্ত রকম সাবধানতা অবলম্বন করে নতুন করে শুরু হয়েছে মেট্রোর কাজ। পূর্বের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার আগে ভাগেই ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছে এলাকা। এলাকার বাসিন্দাদের এমব্যাসি, গ্রিন ইনের মতো একাধিক হোটেলে রাখা হয়েছে।
তবে নতুন করে কাজ শুরুর পরই ফাটল দেখা গিয়েছিল চৈতন্য সেন লেনে। দুর্ঘটনা এড়াতে সেই সময় বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হলে ভিটে ছাড়তে রাজি হননি ওই এলাকার অধিকাংশ বাসিন্দাই। এই পরিস্থিতিতেই চলছিল কাজ। জানা গিয়েছে, টানেল বোরিং মেশিন দিয়ে গৌর দে লেন এলাকার নিচে কাজ শুরু হতেই নতুন করে ফাটল দেখা দেয় ২৩টা বাড়িতে।
ইতিমধ্যেই ফাটলগুলি চিহ্নিত করেছেন কেএমআরসিএলের আধিকারিকরা। ফাটলগুলি কী হারে বাড়ছে সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে। তবে নতুন ফাটলে আতঙ্ক বাড়ছে গৌর দে লেনে বাসিন্দারা। পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা করছেন অনেকেই। যদিও বড়সড় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা নেই বলেই দাবি কেএমআরসিএল আধিকারিকদের। কাজ শেষ হলে কতদিনেই বা মেরামত করা হবে ফাটল ধরা বাড়ি, সেই প্রশ্নও তুলছেন অনেকেই।