আজ থেকে থেকে শুরু হল উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। শেষ হবে ২৭ মার্চ। প্রশ্নফাঁস আটকাতে প্রায় ৩০০ টি স্পর্শকাতর জায়গায় বন্ধ থাকছে ইন্টারনেট। সেই সঙ্গে এই প্রথম স্পর্শকাতর কেন্দ্রগুলিতে ভেতরে ও বাইরে রাখা হয়েছে মেটাল ডিটেক্টর। এই প্রথম প্রশ্ন হচ্ছে সাঁওতালি ভাষাতেও। প্রশ্নপত্রের খামে আছে বারকোড। একই দিনে হচ্ছে একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা। নির্বিঘ্নেই মিটল প্রথম দিনের পরীক্ষা।
আজ উচ্চমাধ্যমিকের প্রথমদিনে কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলাতে সরকার ও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পরীক্ষার্থীদের সাহায্য করতে ও শুভেচ্ছা জানাতে নেওয়া হয়েছে একাধিক উদ্যোগ। অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশি চলবে বাস ও মেট্রো। নদীয়ার তেহট্টে পুলিশের পক্ষ থেকে পরীক্ষার্থীদের হাতে পেন তুলে দেওয়া হয়েছে। নদীয়া সহ বেশ কিছু জায়গায় দেখা গিয়েছে করোনা আতঙ্কে মুখে মাস্ক পরে পরীক্ষা দিচ্ছে পরীক্ষার্থী। উত্তরদিনাজপুর সহ বিভিন্ন স্পর্শকাতর এলাকায় মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে মোবাইল আছে কী না তা পরীক্ষা করা হয়েছে। উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ শহরে পৌরপিতা কার্তিক চন্দ্র পালকে দেখা গিয়েছে পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে স্কেল, পেন, চকোলেট সহ বিভিন্ন পরীক্ষা সামগ্রী বিলি করতে। পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পেন ও গোলাপ ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। জলের বোতল, পেন দিয়ে পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছে বাঁকুড়া তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।
শিক্ষা সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে, গণ টোকাটুকি হলে সেই স্কুলের অনুমোদন বাতিল করা হতে পারে। ছেলে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকছেন একজন অফিসার ও দুই কনস্টেবল। মেয়েদের কেন্দ্রে দায়িত্বে রয়েছেন এক অফিসার ও দুই কনস্টেবল সহ দুইজন মহিলা কনস্টেবল। চিফ ইনভেজিলেটর, ভেনু সুপারভাইজার সহ ৩ জন। পরীক্ষাকেন্দ্রের বিভিন্ন কক্ষে থাকছে এক্সামিনেশন কনফিডিসিয়াল ফর্ম। তাতে গোপনে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো যাবে। পরিস্থিতি বুঝে প্রয়োজনে ফোন করেও জানানো যাবে অভিযোগ। পরীক্ষা চলাকালীন কোনও পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে মোবাইল পাওয়া গেলে তার পরীক্ষা ও রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে। কোনও শিক্ষক-শিক্ষিকার কাছে মোবাইল পাওয়া গেলে তাঁর বিরুদ্ধেও নেওয়া হবে ব্যবস্থা। জানা গিয়েছে, পরীক্ষা চলাকালীন বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও চালানো হবে নজরদারি। এই বছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৭ লক্ষ ৯০ হাজার। গত বছরের চেয়ে প্রায় ৫,০০০ জন কম। শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের ওপর পরীক্ষার্থীরা আক্রমণ চালালে অভিযুক্তদের পরীক্ষা বাতিল করা হতে পারে।