লাভপুর কাণ্ডে কিছুটা স্বস্তি পেলেও নদীয়ার বিধায়ক খুনের মামলায় আরও একবার বিপাকে পড়লেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। বৃহস্পতিবার ভবানী ভবনে গেরুয়া শিবিরের এই নেতার সঙ্গে রীতিমত ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদে বসে সিআইডি। রানাঘাটে তৃণমূল বিধায়ক খুনের ঘটনায় মুকুলকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে খবর।
এর আগে এই ঘটনায়, মুকুলের বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসকে খুনের ঘটনায় মুকুলের বিরুদ্ধে নতুন করে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই মামলায় রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের বিরুদ্ধেও সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বলে খবর। উল্লেখ্য, সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনে নাম জড়িয়েছিল মুকুলের। এই খুনের ঘটনায় মুকুলের নামে এফআইআর দায়ের করাও হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পুজোর ঠিক আগের দিন একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস। সেখানেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। জনবহুল এলাকায় এই বেপরোয়া আক্রমণে হতভম্ব হয়ে পড়েন এলাকাবাসী। স্বভাবতই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় সারা রাজ্যে। শুরু হয় রাজনৈতিক চাপান উতোর। বিধায়ক হিসেবে একজন নিরাপত্তারক্ষী পেতেন সত্যজিৎ বিশ্বাস। খুনের দিন ছুটিতে ছিলেন নিরাপত্তারক্ষী। নিরাপত্তারক্ষীর ছুটির সুযোগ নিয়েই বিধায়ককে গুলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ মিলেছিল।