বেঙ্গালুরু উড়ে যাওয়া মধ্যপ্রদেশের বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়করা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে অনুসরণ করে পদ্মশিবিরে যোগ দিতে নাকি বেঁকে বসেছেন। এবার সামনে এল এমনই খবর। দলত্যাগীদের মধ্যে অন্তত ১২ জন বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিতে নারাজ বলে সূত্রের খবর। এঁদের মধ্যে ২ জন মন্ত্রীও আছেন। বেঙ্গালুরুর এক হোটেল থেকে সাংবাদিকদের এঁরা জানিয়েছেন, ‘আমরা এখানে এসেছিলাম মহারাজের পাশে দাঁড়াতে। বিজেপিতে যোগ দিতে নয়।’ যদিও জানা গিয়েছে, বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস বিধায়করা বিজেপিতে যোগ দিতে অনিচ্ছুক হলেও তাঁরা চান, একটি পৃথক রাজনৈতিক দল গঠন করতে।
‘দলে থেকে রাজ্য এবং দেশের মানুষের জন্য কিছু করা সম্ভব নয়। নতুন করে শুরু করতে চাই’, এই মর্মে অন্তবর্তী কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে মঙ্গলবার ইস্তফা দেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তিনি ইস্তফা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর অনুগামী ২০ জন কংগ্রেস বিধায়কও তাঁদের ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন রাজভবনে। যদিও জ্যোতিরাদিত্য ইস্তফা গ্রহণ না করে, দল-বিরোধী কার্যকলাপের জন্য তাঁকে বহিষ্কার করে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। আর তারপর আজই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি।
তবে জ্যোতিরাদিত্য গেলেও দলীয় বিধায়কদের বিজেপিতে যোগ দিতে অস্বীকার করায় আপাতত স্বস্তিতে কংগ্রেস। তাদের দাবি, ১২ জন তো বটেই, আরও বেশ কয়েকজন বিধায়ক তাঁদের শিবিরে ফিরে আসবেন। এবং মধ্যপ্রদেশ সরকার নিজের মেয়াদ পূর্ণ করবে। ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের তরফে দলত্যাগী বিধায়কদের মান ভাঙাতে বেঙ্গালুরুতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ৩ সদস্যের এক প্রতিনিধিদলকে। দলত্যাগীদের সঙ্গে বৈঠকের পর কংগ্রেস নেতা সজ্জন সিং বর্মা জানিয়েছেন, ‘কেউ সিন্ধিয়াজির সঙ্গে যেতে রাজি নন। ওঁদের ভুল বুঝিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। ওঁরা কেউ বিজেপিতে যোগ দেবেন না।’ উল্লেখ্য, এদিন বিশেষ বিমানে ৮৮ জন কংগ্রেস ও ৪ জন নির্দল বিধায়ককে জয়পুর উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে হাতশিবির।