বাঁকুড়া রাঙামাটির দেশ। আর সেখানে পলাশ ফুল যথেষ্ট জনপ্রিয়। তাই দোলের দিন সেখানে সবাই সেজে উঠেছিলেন পলাশের রঙে রঙ মিলিয়ে। এদিন একেবারে অন্য ভূমিকায় দেখা গেল রাণীবাঁধের বিধায়ক জ্যোৎস্না মাণ্ডিকে। মুকুটমনিপুর নতুন করে সাজানোয় বড় ভূমিকা রয়েছে এই বিধায়কের। আর সেই মুকুটমনিপুরেই রঙে উৎসবে এদিন নিজে সামিল হলেন তিনি।
তাঁর পরণে ছিল বাসন্তী শাড়ি। পলাশ ফুলের গয়নায় সেজেছিলেন তিনি। গালে নানা রঙের আবির মেখে এদিন নৃত্য পরিবেশন করেন তিনি। প্রিয় বিধায়ককে এই ভূমিকায় দেখতে পেয়ে খুশি সকলেই। বাঁকুড়ার লাল মাটিতে ‘করোনা ভাইরাসের কোন প্রভাব পড়েনি’ জানিয়ে বিধায়ক জ্যোৎস্না মাণ্ডি বলেন, সকলে মিলে আমরা রঙের উৎসবে মেতে উঠেছি। ফি বছর নতুন করে মুকুটমনিপুর সেজে উঠছে, আগামী দিনে আরও নতুন রুপে মুকুটমনিপুরকে পাওয়া যাবে।’ আন্তর্জাতিক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করা মুকুটমনিপুরে পলাশ উৎসবে অসংখ্য মানুষ অংশ নিয়েছেন বলে তিনি জানান।
এদিন সকালে পদযাত্রা শেষে মুকুটমনিপুরে নাচ-গান-কবিতা আর সঙ্গে দেদার আবির খেলায় মেতে উঠলেন অসংখ্য মানুষ। অংশগ্রহণকারী সুশিতা মণ্ডল বলেন, ”দারুণ আনন্দ হচ্ছে। সকলে মিলে একসাথে এই পলাশ উৎসবে অংশগ্রহণের মজাই আলাদা বলে তিনি জানিয়েছেন।”