সোমবার রাত থেকেই তৈরি হচ্ছিল জল্পনা৷ অবশেষে মঙ্গলবার বেলা গড়াতেই সব পরিষ্কার হয়ে গেল৷ কংগ্রেস ছেড়ে দিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া৷ মঙ্গলবার হোলির উত্সবের মধ্যেই জ্যোতিরাদিত্যকে সঙ্গে নিয়ে সকাল সকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷ এরপর তিনজনের বেশ কিছুক্ষণ বৈঠক করেন৷ তবে তার আগেই কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন জ্যোতিরাদিত্য৷ এ নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ খুলতে শুরু করেছেন কংগ্রেস নেতারা।
কংগ্রেস নেতা কেসি বেণুগোপাল যেমন জানিয়ে দিলেন, ‘দলবিরোধী কার্যকলাপের জন্য জ্যোতিরাদিত্যা সিন্ধিয়াকে দল থেকে বহিষ্কার করা হল। সোনিয়া গান্ধীর নির্দেশেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এতে মধ্যপ্রদেশ সরকারের উপর কোনও প্রভাব পড়বে না। পুরো সময়ই ক্ষমতায় থাকবে।’ আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে হয়তো মন্ত্রীপদের লোভ দেখিয়েছেন, তাই জ্যোতিরাদিত্য এই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে সরাসরি অভিযোগ করলেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরি।
অধীর বলেন, ‘সিন্ধিয়াজি কংগ্রেস পার্টির বিভিন্ন উচ্চ পদে ছিলেন। সবাই তাঁকে শ্রদ্ধাও করত। মনে হয় মোদীজি তাঁকে মন্ত্রিত্ব পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়েছিলেন। তাতেই ফেঁসেছেন উনি। আমরা জানি তাঁর পরিবার বহু যুগ ধরেই বিজেপির সঙ্গে যুক্ত আছে। তবে এটা আমাদের দলের ক্ষেত্রে খুবই বড় একটা ক্ষতি। এই পরিস্থিতিতে আমি মনে করি না যে মধ্যপ্রদেশে আমাদের সরকার আর ঠিকবে। আসলে আজকের দিনে এটাই বিজেপির রাজনীতি। যারা সবসময়ে বিরোধীদের সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানোর চেষ্টা করছে।’
মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা দ্বিগিজয় সিং অভিযোগ করেন, ‘দলত্যাগী কংগ্রেস বিধায়কদের তিনটি চার্টাড বিমানে করে বেঙ্গালুরু নিয়ে গিয়েছে বিজেপি। তার সমস্ত প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। আসলে কমলনাথ মাফিয়াদের বিরদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। তাই মধ্যপ্রদেশের নাগরিকদের জনাদেশের বিরুদ্ধে গিয়ে তাঁর সরকারকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।’ প্রাক্তন বিদেশ মন্ত্রী নটবর সিং আবার বলেন, ‘জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া যে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন তাতে আমি অবাক হইনি। আমার মনে হয় তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় পাঠানো হবে।’