মধ্যরাত থেকে মধ্যপ্রদেশে নাটক জারি। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে একরাতেই কংগ্রেস মন্ত্রিসভার ২২ মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন! স্বভাবতই এতে প্রচণ্ড চাপে পড়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ। সরাসরি বিজেপির দিকে তোপ দেগে কংগ্রেসের তরফে জানান হয়েছে, মাফিয়াদের সাহায্য নিচ্ছে গেরুয়ারা, এইভাবে মধ্যপ্রদেশের সরকার ফেলে দিতে উদ্যত হয়েছে তারা। কমলনাথ জানিয়েছেন, সকলের ইস্তফা গ্রহণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার ফের নতুন করে মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে।
গোটা ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তিনিই নাকি কংগ্রেসের ১৭ জন বিধায়ককে বেঙ্গালুরুতে উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছেন, অভিযোগ এমনই। কোনও বিধায়কের সঙ্গেই যোগাযোগ করতে পারেনি কমলনাথের সরকার। এর আগে বিজেপির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিল কংগ্রেস। তবে এবার ব্যাপারটা যে ‘ঘরোয়া’ তা আন্দাজ করা হচ্ছে। এদিকে, কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং-এর মতে, জ্যোতিরাদিত্য নাকি সোয়াইন ফ্লুয়ে ভুগছেন, যোগাযোগ করা যায়নি তাঁর সঙ্গে।
মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকারের অভিযোগ ছিল বিজেপি সরকার ভাঙতে চেয়ে বিধায়কদের হোটেলেবন্দী করে রেখেছে। সেই নাটকের অবসান হতে না হতেই এবার নতুন নাটকের আসর জমে উঠল কমল রাজ্যে। মুখ্যমন্ত্রী কমলের সরকারকে একেবারে খাদের কিনারায় পাঠিয়ে দেওয়া জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বেশ কিছু সময় ধরেই দলের বিরুদ্ধে গর্জে উঠছিলেন। সেই প্রেক্ষিতে আন্দাজ করা হচ্ছে তিনি হয়তো এবারই বিজেপিতে যেতে পারেন। তার আগে মধ্যপ্রদেশের সরকার ভেঙে ‘সবক’ শেখাতে চাইছেন কমলনাথদের। কারণ জানা গিয়েছে, যে বিধায়করা আত্মগোপন করে রয়েছে, তাঁরা সকলেই সিন্ধিয়া শিবিরের লোক। সেখানে কয়েকজন মন্ত্রীও রয়েছেন।
এই মুহূর্তে যে অবস্থায় কংগ্রেস সরকার মধ্যপ্রদেশে দাঁড়িয়ে রয়েছে তাতে মনে করা হচ্ছে কমলনাথ সব মন্ত্রিসভার সদস্যদের থেকে ইস্তফা চেয়ে নেবেন। তারপর তিনি ভোটাভুটিতে যাবেন। সেই ক্ষেত্রে রাজভবন কী ভূমিকা পালন করেন তার দিকে নজর থাকবে সকলের। এতএব এককথায়, কমল নাথ নিজেই হয়তো রাজ্যের সরকার ভেঙে দিতে পারেন।