জল্পনা চলছিলই তা হলে কি এ বার বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। সেই জল্পনা বাড়িয়ে মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাসভবনে গেলেন জ্যোতিরাদিত্য। সঙ্গে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
সোমবার রাত থেকেই জ্যোতিরাদিত্যর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল কংগ্রেস। এ প্রসঙ্গে দিগ্বিজয় সিংহ বলেন, ‘দলের তরফে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমাদের জানানো হয়েছে সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত সিন্ধিয়া। তিনি কথা বলতে পারবেন না।’ ফলে জ্যোতিরাদিত্যকে নিয়ে কংগ্রেস শিবিরে আশঙ্কা ক্রমশ বাড়তে থাকে। জ্যোতিরাদিত্য এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ ১৭ বিধায়ককে ফিরিয়ে আনার জন্য সব রকম চেষ্টা চালান কমল নাথ। দলীয় সূত্রে খবর, আলোচনার জন্য সব দিক খোলা রাখা হয়েছে, এমনও নাকি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল জ্যোতিরাদিত্যকে।
কিন্তু এ দিন সকাল হতেই ছবিটা সম্পূর্ণ বদলে যায়। নিজের বাসভবন থেকে বেরিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান জ্যোতিরাদিত্য। সোমবার ভোপাল থেকে পাঁচ মন্ত্রী-সহ কংগ্রেসের ১৭ জন বিধায়ক ‘উধাও’ হয়ে যান। তাঁরা সকলেই জ্যোতিরাদিত্যর ঘনিষ্ঠ। ২৩০ বিধানসভা আসনের মধ্যে ১২০ জন বিধায়ক নিয়ে মধ্যপ্রদেশে সরকার গড়েছিল কংগ্রেস। যা প্রয়োজনীয় সংখ্যার থেকে ৪ বেশি। অন্য দিকে বিজেপির রয়েছে ১০৭ জন বিধায়ক। এমন জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ১৭ জন বিক্ষুব্ধ বিধায়ক যদি সমর্থন তুলে নেন, তা হলে কমল নাথের সরকার টিকিয়ে রাখা অসম্ভব হবে। আর সেটা বুঝতে পেরেই সিন্ধিয়া ও তাঁর অনুগত বিধায়কদের বাগে আনার চেষ্টা চালিয়ে যান কমল নাথ।
জ্যোতিরাদিত্য কি তা হলে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন? এমন জল্পনাও শুরু রাজনৈতিক মহলে। সোমবার রাতে সেই জল্পনা আরও উস্কে দেয় বিজেপির একটি সূত্রের বক্তব্য। সেই সূত্রের দাবি, বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন সিন্ধিয়া।