পূর্ব ঘোষণা মতই গতকাল থেকেই দুই ২৪ পরগনাতে শুরু হয়ে গেল তৃণমূলের নতুন কর্মসূচি ‘বাংলার গর্ব মমতা’। শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় কর্মসূচিতে উপস্থিত প্রশান্ত কিশোরের টিমের প্রতিনিধিরা তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বক্তব্য শুনে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নোট করলেন। গতকাল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে এই কর্মসূচিতে দেখা গেল রেজ্জাক মোল্লাকেও।
স্বরূপনগরে এ দিন জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা স্থানীয় বিধায়ক বীণা মণ্ডল এলাকায় সভা করেন নেতা-কর্মীদের নিয়ে। দীপেন্দু বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞের কারণে বাংলা এগিয়ে চলেছে। তাঁর কর্মযজ্ঞকে প্রসারিত করতে ’বাংলার গর্ব মমতা’ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আগামী ৭৫ দিন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা মানুষের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলবেন।’ সন্দেশখালিতে বিধায়ক সুকুমার মাহাতো, হাড়োয়ার বিধায়ক হাজি নুরুল ইসলামের উদ্যোগেও এই কর্মসূচি পালিত হয়। বসিরহাট-উত্তর বিধানসভার অনুষ্ঠান হয় খোলাপোতায়।
এছাড়াও ব্যারাকপুর মহাকুমার প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রেও ‘বাংলার গর্ব মমতা’ কর্মসূচি পালিত হয় এ দিন। পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষ সোদপুর উদয়ন সঙ্ঘে কর্মসূচির সূচনা করেন। আগামী দিনের কর্মসূচি সম্পর্কে অবগত করা হয় দলীয় নেতা-কর্মীদের। খড়দহ বিধানসভার ক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র ব্যস্ততার কারণে হাজির থাকতে না-পারলেও তাঁর কেন্দ্রে কমর্সূচির সূচনা হয় দমদমের সাংসদ সৌগত রায়ের হাত ধরে।
বিধানসভা-ভিত্তিক এই কর্মসূচির এ দিন মধ্যমগ্রামের নজরুল শতবার্ষিকী অডিটোরিয়ামে চালু করেন বিধায়ক রথীন ঘোষ। বারাসতের বিদ্যাসাগর মঞ্চে কর্মসূচিতে যোগ দেন স্থানীয় সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারও। সাংবাদিক বৈঠকে বারাসতের বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী বলেন, ‘বিজেপির প্রতি মানুষের মোহভঙ্গ হয়েছে। নরেন্দ্র মোদী সরকারের এনআরসি ও সিএএ মানুষ ভাল ভাবে মেনে নেয়নি। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী নিরলস পরিশ্রম করে উন্নয়নের মাধ্যমে রাজ্যটাকে যে জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন তা নজিরবিহীন।’