প্রায় ১৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর অবশেষে মুম্বই থেকে গ্রেফতার করা হল ইয়েস ব্যাঙ্কের কর্ণধার রানা কাপুরকে। শনিবার রাতে রানা কাপুরকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করেন ইডি আধিকারিকরা। জেরায় ইয়েস ব্যাঙ্কের কর্ণধার সহযোগিতা করেননি বলেই অভিযোগ। তারপরই তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা।
শনিবার ইয়েস ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা রানা কাপুরের বাড়ি তল্লাশি করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। বৃহস্পতিবারই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ৩০ দিনের জন্য ইয়ের ব্যংকের বোর্ড অধিগ্রহণ করে। ব্যাঙ্কের আর্থিক অবস্থার গুরুতর অবনতির কারণেই এই পদক্ষেপ করা হয় বলে জানানো হয়েছে। ইয়েস ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা রানা কাপুরের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার করার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। রানা কাপুর ও ইয়েস ব্যাংকের আরও কয়েকজন প্রাক্তন ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে লুক আউট সার্কুলারও জারি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবারই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন জানান জানান যে ইয়েস ব্যাঙ্কের শীর্ষ আধিকারিকদের দ্বারা বেশ কিছু অনৈতিক কাজকর্মের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। সেই কারণেই কেন্দ্র ব্যাংকের ম্যানেজমেন্ট পুর্নগঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান তিনি। ইয়েস ব্যাঙ্কের লগ্নিকারীদের আমানত সুরক্ষিত আছে বলেও আশ্বস্ত করেন নির্মলা সীতারমন। তিনি জানান, আমানতকারীদের দৈনিক ৫০,০০০ টাকার বেশি তোলায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় কিছুদিন অসুবিধা হলেও, সেই সমস্যা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাটিয়ে ফেলতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র।
রবিবারই রানা কাপুরকে আদালতে পেশ করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানাবে ইডি। এদিকে, এই ব্যাঙ্ককে বাঁচাতে আসরে নামল স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। ইয়েস ব্যাঙ্কের ৪৯ শতাংশ শেয়ার কিনতে চলেছে এসবিআই। শনিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানান এসবিআইয়ের চেয়ারম্যান রজনীশ কুমার।