প্রথমে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক স্তরে বিক্ষোভ। এরপর রাজধানী দিল্লীর বুকে ঘটে যাওয়া রক্তক্ষয়ী দাঙ্গা। দুইয়ের জেরে গণতান্ত্রিক মানদণ্ডে কয়েক ধাপ পতন হয়েছে ভারতের। নানা মহলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, খুব শিগগির বন্ধুও হারাতে পারে ভারত। সেই প্রসঙ্গেই শনিবার দিল্লীতে আয়োজিত হয়েছিল গ্লোবাল বিজনেস সামিট। উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেখানেই বেশ কয়েকটি ইস্যুতে মন খুলে নিজের অবস্থান জানান বিদেশমন্ত্রী।
নানা ইস্যুর কথা সামনে রেখে যখন জয়শঙ্করকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হয় তখন তিনি বলেন, ‘হয়তো আমরা এখন বুঝতে পারছি যে কে আমাদের সত্যিকারের বন্ধু। একটা সময় ভারত মারাত্মক রক্ষণাত্মক ছিল, আমাদের ক্ষমতাও কম ছিল, ঝুঁকি আর ভয় ছিল বেশি। সেই কারণে আমরা গোটা বিশ্বকে ম্যানেজ করার নীতি নিয়ে চলতাম। দূরে দূরে থাকতাম। এখন আর সেটা করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। বিশ্বের পঞ্চম বৃহৎ অর্থনীতি হয়েছিল আমরা। তাই আমাদের ক্ষেত্রে বাকি দেশের স্বভাবও বদলে গিয়েছে।’ বিদেশমন্ত্রীর আরও দাবি, ‘আমার এটা বিশ্বাস যে আজ যে কোনও দেশের দূতাবাসে যদি আপনি উপস্থিত হন তবে গ্রহণযোগ্যতা অনেকটাই পান, একই সঙ্গে সমর্থনও। এটা বোধ হয় কয়েক বছর আগে পর্যন্ত হত না।’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি দিল্লীর বুকে ঘটে যাওয়া দাঙ্গার যে বিরূপ ভাব গোটা বিশ্বে পড়েছে তা এখন স্পষ্ট। ইরান-সহ একাধিক দেশ নিজেদের তীব্র প্রতিক্রিয়া জাহির করেছে, যারা ভারতের বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবেই পরিচিত। সেই দেশের বিদেশমন্ত্রী জাভাদ জারিফ বলেছিলেন ভারতকে ‘নির্বোধ দস্যুতা’ বন্ধ করতে। এবার ইরানের শীর্ষ ধর্মীয় নেতা লিখেছেন, ‘ভারতে মুসলিমদের উপর অত্যাচার দেখে গোটা বিশ্বের মুসলিমদের হৃদয় কাঁদছে। ভারত সরকারের উচিত উগ্র হিন্দুত্ববাদী এবং তাদের দলকে দমন করা এবং মুসলিমদের উপর অত্যাচার বন্ধ করা যাতে মুসলিম রাষ্ট্রগুলির থেকে ভারতকে আলাদা না হয়ে যেতে হয়।’