সিএএ প্রতিবাদ এবং শাহিনবাগ এখন সমার্থক হয়ে গিয়েছে। দিল্লীতে যে সঙ্ঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে তার অন্যতম কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে শাহিনবাগের প্রতিবাদকেই। কারণ, এই শাহিনবাগকে নিয়ে বিতর্কিত এবং উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছিলেন বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র। তার পরবর্তী ঘটনা সকলে জানে। যতই যাই হোক না কেন সিএএ প্রতিবাদ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার তেমন কোনও সুরাহা করতে পারেনি। এবার আরও একটি তথ্য সামনে এল যা কেন্দ্রীয় সরকারের ঘুম ওড়াবে। জানা গিয়েছে, গত ৬০ দিনে গোটা দেশে প্রায় ২৯১টি ‘শাহিনবাগ’ গড়ে উঠেছে।
এই তথ্য বলছে, বিগত ৬০ দিনের মধ্যে সিএএ প্রতিবাদস্থল ৯ থেকে পৌঁছে গিয়েছে ২৯১-এ! এর সবচেয়ে কারণ হিসেবে দিল্লীর সংঘর্ষকেই দেখা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, দিল্লীতে যে ঘটনা ঘটেছে তা সিএএ প্রতিবাদকে প্রতিরোধ করতেই করা হয়েছিল। তাকেই মাথায় রেখে মানুষ আরও বেশি করে নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় সরব হয়েছে। আর তার জন্যেই প্রতিবাদস্থল এক লাফে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২৯১-এ। একটা শাহিনবাগ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এমনিতেই নাস্তানাবুদ হচ্ছে, এখন অন্যান্য শাহিনবাগের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে চিন্তা আরও বাড়ল গেরুয়া শিবিরের ।
গতবছর ১৫ ডিসেম্বর থেকে দিল্লীতে শাহিনবাগে সিএএ বিরোধী আন্দোলন চলছে। দিল্লী-নয়ডা হাইওয়ের ৬ লেনের রাস্তা জুড়ে চলছে সেই প্রতিবাদ। বিগত দিনে একাধিকবার শাহিনবাগের এই প্রতিবাদকে প্রতিহত করার চেষ্টা করা হয়েছে। অন্যদিকে, একাধিক তারকা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ অনেকেই এই প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন। সবমিলিয়ে এই মুহূর্তেও দেশের অন্যতম চর্চার বিষয় সেই শাহিনবাগ এবং তার প্রতিবাদ।
দিল্লীর শাহিনবাগের মতোই কলকাতার পার্ক সার্কাস ময়দানে চলেছে সিএএ বিরোধী প্রতিবাদ। অবস্থান বিক্ষোভে তারা রয়েছেন প্রায় ২ মাস ধরে। তাদের বার্তা, দিল্লী সঙ্ঘর্ষও শাহিনবাগের প্রতিবাদ তুলতে পারেনি, কলকাতাতেও পারবে না। এই আন্দোলন তুলতে গেলে সরকারকে সিএএ বাতিল করতে হবে, তবেই তারা আন্দোলন রদ করবেন।
অন্যদিকে শীর্ষ আদালতের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, দিল্লীর পরিস্থিতি ঠিক না হলে শাহিনবাগ মামলার শুনানি হওয়া সম্ভব নয়। স্পষ্টভাবে এটাও বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনও ভাবেই এই মামলার সঙ্গে দিল্লীর হিংসাকে জড়াতে রাজি নয় শীর্ষ আদালত। শাহিনবাগ মামলার পরবর্তি শুনানি হবে আগামী ২৩ মার্চ।