সিএএ-র বিরুদ্ধে স্কুলে নাটক করেছিল পড়ুয়ারা। তা নিয়েই শোরগোল শুরু হয়েছিল কর্ণাটকে বিদারে। এক এবিভিপি সদস্য ওই স্কুলের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা দায়ের করেছিলেন। শুক্রবার ওই মামলায় অভিযুক্তদের আগামী জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল বিদারের জেলা দায়রা আদালত।
বিচারক জানিয়েছেন, দেশদ্রোহিতার অভিযোগকে এক্ষেত্রে খাটে না। ওই নাটকে সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট হয়নি। প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারি মাসে বিদারের স্কুলে নাগরিকত্ব আইনবিরোধী নাটকটি মঞ্চস্থ করেছিলেন ৯ থেকে ১২ বছর বয়সি পড়ুয়ারা। নাটকটিতে একজন বৃদ্ধার চরিত্রে অভিনয় করা ১১ বছরের এক ছাত্রীর মুখে একটি সংলাপ ছিল, ‘যদি কেউ কাগজ দেখাতে বলে, তাকে জুতো দিয়ে মারব’। এই নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক।
দেশদ্রোহিতার মামলায় ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং স্কুল কর্তৃপক্ষকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবদ করেছিল পুলিশ। এক অভিভাবককে গ্রেফতার অবধি করা হয়। তা নিয়েও ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে।
স্কুল কর্তৃপক্ষের পাঁচজন সদস্যকে রক্ষাকবচ দিয়েছে আদালত। এর আগে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা এবং ওই সংলাপ বলা ছাত্রীর মাকে অপরাধে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছিল। তাঁদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার ধারা দেওয়া হয়নি। পরে তাঁরা জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
বিচারক জানিয়েছেন, ‘নাটকটি সমাজে কোনও সম্প্রীতি নষ্টের কারণ হয়নি। সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমার ধারণা, এক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪এ ধারা (দেশদ্রোহ) দায়েরের উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ নেই।’