এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বের কাছেই আতঙ্কের নাম করোনা। এই মারণ ভাইরাসের মোকাবিলায় এখন কার্যত অসহায় অবস্থা চীনের মত দেশেরও। কারণ এখনও পর্যন্ত করোনার কোনও ওষুধ বা ভ্যাকসিন তৈরিতে অক্ষম গোটা বিশ্বের চিকিৎসক মহল। কিন্তু করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থেকে এখনো ‘সেফ জোনে’ আছে কলকাতা। কলকাতায় এখনও পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগী পাওয়া যায়নি। এই ভাইরাস মোকাবিলা করার জন্য যা যা পদক্ষেপ নেওয়া দরকার তা ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। বুধবার এমনটাই জানিয়েছেন কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র তথা মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ। কলকাতায় দ্রুত করোনা ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে বলে যে প্রচার চালানো হয়েছে রাজ্য বিজেপির তরফ থেকে, সেই প্রচারের কোনও যৌক্তিকতা নেই বলেও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।
ডেপুটি মেয়র জানান, চিনা ভাইরাস করোনা যাতে এই রাজ্যে প্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়ে ইতিমধ্যেই তৎপর হয়েছে রাজ্য সরকার। কলকাতা পুরসভার আওতায় থাকা স্বাস্থ্য দফতর গুলোকে জরুরী ভিত্তিতে সর্তকতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। করোনা ভাইরাসের যে সমস্ত প্রাথমিক লক্ষণ রয়েছে সেই সমস্ত লক্ষণ নিয়ে যদি কোনো রোগী আসে, সে ক্ষেত্রে হায়ার অথরিটিকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য দফতর গুলোকে। এরপর চিকিৎসার পরেও যদি রোগীর অবনতির দিকে যায় সেক্ষেত্রে কলকাতা পুরসভার তরফ থেকে সেই রোগীর নাম ঠিকানা পাঠানো হবে রাজ্য সরকারের কাছে। এর পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে যা ব্যবস্থা গ্রহণ করার রাজ্য সরকারই করবে।
এদিকে ইতিমধ্যেই করোনা ভাইরাস নিয়ে প্রচার চলে রাজ্য বিজেপির তরফ থেকে। দলের তরফ থেকে জনসাধারণের উদ্দেশ্যে চলে মোদী-মাস্ক বিতরণ করে বলা হয়, ইতিমধ্যেই করোনা প্রবেশ করেছে ভারতে। কলকাতাতেও শীঘ্রই প্রবেশ করতে পারে তা। তাই মোদী-মাস্ক ব্যবহার করুন। তবে এই আশঙ্কাকে হেলায় উড়িয়ে দিয়ে অতীন বলেন, ‘ভারতে এখনও পর্যন্ত যে কজন করোনায় আক্রান্ত রোগী পাওয়া গিয়েছে তাঁরা সকলেই বাইরে থেকে এসেছেন। বর্তমানে ভারতবর্ষের আবহাওয়া করোনা ভাইরাসের প্রতিকূল। করোনা কলকাতায় প্রবেশ করবে এই প্রচার সম্পূর্ণ ভ্রান্ত।’ বিজেপির উদ্দেশ্যে তাঁর তোপ, ‘এই ধরনের একটি স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে রাজনীতি না করাই বাঞ্ছনীয়। কিন্তু পুরভোটের আগে বিজেপির কাছে কোনো ইস্যু নেই, তাই তারা করোনাটাই হাতিয়ার করতে চাইছে।’