গত কয়েকদিন ধরে পেট্রোল-বোমা-অ্যাসিড ছুঁড়ে, গাড়ি জ্বালিয়ে যে তাণ্ডব চলছিল দিল্লীর রাস্তায়, এখন তা থেমেছে। কিন্তু সেই তাণ্ডবের ভয়াবহতা এখনও ভুলতে পারেননি রাজধানীর বাসিন্দারা। একে তো হিংসার বলি হয়েছেন ৪৭ জন। তার ওপর মৌজপুর, জাফরাবাদ, চাঁদবাগ, খাজুরিখাসে এখনও দেখা যাচ্ছে রক্তের দাগ। এরই মধ্যে সামনে এল চাঞ্চল্যকর ভিডিও। ২৪ ফেব্রুয়ারি দিল্লীর দাঙ্গাবিধ্বস্ত চাঁদবাগ অঞ্চলে বাড়ির ছাদ থেকে মোবাইলে ভিডিও তুলেছিলেন এক ব্যক্তি। তাতেই দেখা যাচ্ছে, কয়েকশ দাঙ্গাকারী জনতা তেড়ে আসছে পুলিশের দিকে। প্রাণ বাঁচাতে পালাচ্ছে পুলিশ।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কয়েকশ জনতা দৌড়ে আসছে জনাকয়েক পুলিশকর্মীর দিকে। পুলিশকর্মীরা দাঁড়িয়ে আছেন রাস্তায়। রাস্তার চারদিকে ছড়িয়ে আছে ইট। জনতাকে দৌড়ে আসতে দেখে পুলিশকর্মীরা টিয়ার গ্যাসের শেল ছঁড়লেন। তারপরে দেখা গেল, জনতা দৌড়ে পালাচ্ছে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে দেখা গেল, ফিরে এসেছে জনতা। পুলিশ কোণঠাসা। তাঁরা রাস্তার ডিভাইডারের ধারে দাঁড়িয়ে আছেন। জনতা পুলিশের দিকে পাথর ছুঁড়তে লাগল। অনেকে লাঠি হাতে তেড়ে গেল তাঁদের দিকে। কয়েকজন পুলিশ লাফ দিয়ে পেরোলেন ডিভাইডার। দৌড়ে আশ্রয় নিলেন রাস্তার অপর প্রান্তে। জনতা তখনও তাঁদের দিকে পাথর ছুঁড়ছিল। বাঁচার জন্য পুলিশকর্মীরা আশ্রয় নিলেন কয়েকটি গাছের আড়ালে।
এই ভিডিও প্রকাশিত হওয়ার পরে রীতিমতো চাঞ্চল্য দেখে দিয়েছে নানা মহলে। পর্যবেক্ষকদের মতে, দাঙ্গা থামাতে কেন্দ্রীয় সরকার যে উপযুক্ত সংখ্যক পুলিশ নিয়োগ করেনি, তা ওই ভিডিও থেকে বোঝা গিয়েছে। পুলিশকর্মীরা ওইদিন নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলার জন্য চাঁদবাগে গিয়েছিলেন। পুলিশকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উচ্চপদস্থ অফিসার অমিত শর্মা ও অনুজ কুমার। হেড কনস্টেবল রতন লালও ছিলেন তাঁদের মধ্যে। যদিও তিনজনকে ভিডিও চিত্রে দেখা যায়নি। ওইদিনই রতনলাল নিহত হন।