দিল্লী হিংসা চলাকালীন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতেই দেখা গিয়েছিল, গায়ে বর্ম সেঁটে, হাতে লাঠি নিয়ে নির্মীয়মাণ বাড়ির নীচে দাঁড়িয়ে পুলিশকর্মী। আর তাঁর সামনেই তাঁর নির্দেশ মতো পাথর জড়ো করে একটি চাদরের ওপর রাখছেন একদল যুবক। একটা সময় পর সেই উর্দিধারীর ইঙ্গিতেই পড়িমরি ছুট লাগাল ওই যুবকেরা। তার পরেই শুরু দেদার পাথর ছোঁড়া। শুধু তাই নয়। গত সপ্তাহে ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিও ক্লিপ থেকে এ-ও স্পষ্ট গিয়েছিল, সে দিন পাথর ছুঁড়েছিল দিল্লী পুলিশও। পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হওয়ার পরে সম্প্রতি উত্তর-পূর্ব দিল্লীর খজুরী খাস এলাকার ওই মহল্লায় যান বিবিসি-র এক সাংবাদিক। তাঁকে হিমাংশু রাঠৌর নামে এক স্থানীয় যুবক জানান, সে দিন পুলিশই তাঁদের পাথর জোগাড় করে দিয়ে বলেছিল— ‘মারো’।
প্রসঙ্গত, খজুরী খাস থানা এলাকার অন্যতম ব্যস্ত এলাকা, পুলিশি সহায়তা কেন্দ্রের গা ঘেঁষে সে দিন পাথর ছুড়তে দেখা গিয়েছিল পুলিশকে। ঘটনার সপ্তাহখানেক পরে ঠিক সেই এলাকায় গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গেই কথা বলেন বিবিসির সাংবাদিক। সেখানে হিমাংশুর মতো ভুরা খানের কথাতেও উঠে আসে ‘পুলিশি তৎপরতার’ কথা। তাঁর কথায়, ‘পুলিশের সঙ্গেই সে দিন আমাদের বাড়ি-দোকান জ্বালাতে এসেছিল ওরা। সব শেষ হয়ে গেল, পুলিশ শুধু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখল!’ সে দিন কোনও রকমে ছাদে পালিয়ে এসে প্রাণে বাঁচেন ভুরা খান। ঘটনাচক্রে, সেই সময়ে আরও একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যাতে দেখা যায়, পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়ছে উন্মত্ত জনতা। উত্তর-পূর্ব দিল্লীর ঘটনা বলে ওই ভিডিওটি টুইটারে শেয়ার করেছিলেন এক বিজেপি নেতা তথা এক প্রাক্তন সেনা অফিসার। কিন্তু ভিডিওটি যে দু’মাস আগেকার এবং গুজরাতের ঘটনা, তা প্রমাণ হয়ে যাওয়ার পরেই ‘পাথর-ছোঁড়া পুলিশের’ ভিডিও নিয়ে আরও বেশি হইচই শুরু হয়।