জাতীয় নাগরিকপঞ্জি থেকে আসামের ৪০ লক্ষ নাগরিকের নাম বাদ দেওয়া এবং বিজেপি-আরএসএসের যৌথ উদ্যোগে ধ্বংসাত্মক জাতিবিবাদ সৃষ্টি করার বিরুদ্ধে এদিন পর পর চারটি ট্যুইট করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি তার প্রথম ট্যুইটে বিজেপি -আরএসএসের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে নাম করে বিভ্রান্তিকর বিবৃতি দেওয়ার অভিযোগ আনেন।
তিনি লেখেন,’ এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে বিজেপি-আরএসএস সুপ্রিম কোর্টের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর বিবৃতি প্রচার করছে। সুপ্রিম কোর্ট কখনই এনআরসি তালিকা থেকে ভারতীয় নাগরিকদের নাম সরিয়ে দেওয়ার কথা বলেনি।’
তাঁর দ্বিতীয় ট্যুইট সরাসরি এনআরসি তালিকার বিরুদ্ধে আক্রমণ। তিনি লেখেন,’ তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন বাঙালি, অসমিয়া, রাজস্থানি, মারওয়ারি, গোর্খা, উত্তরপ্রদেশবাসী, পাঞ্জাবি, দক্ষিণের চারটি রাজ্যের মানুষ। তবে এখানেই শেষ নয় আরও আছে।’
তৃতীয় ট্যুইটে তিনি লেখেন,’ সাহসী সেনা, পূর্বতন রাষ্ট্রপতিজি’র পরিবারের লোকেরা, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, গরীব, বঞ্চিত মানুষের নাম তালিকায় নেই। গুরুতর অনিয়মের কারণে পরিবার বিভক্ত হয়ে গিয়ে আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন বহু মানুষ, এমন উদাহরণও আছে।’
চতুর্থ ও শেষ ট্যুইটে তিনি দেশের সাম্প্রয়িক ঐতিহ্য বিজেপি-আরএসএস মিলে নষ্ট করছে বলে অভিযোগ্যরে লেখেন,’ কোথায় গণতন্ত্র? কোথায় ধর্মনিরপেক্ষতা? দেশের মূল্যবোধকে ধ্বংস করা হচ্ছে কেন? কেন ২০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসামে পাঠানো হয়েছে? বিজেপি আরএসএসের প্রতিটি পদক্ষেপই ইচ্ছাকৃত। সবই ধ্বংসাত্মক এবং রাজনৈতিক জাতিবিবাদ সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে।’
‘গৃহ বিবাদ সৃষ্টি করছে বিজেপি’, এনআরসি প্রসঙ্গে তৃণমূল নেত্রীর এই মন্তব্যে দেশের সকল এ-বিজেপি রাজনৈতিক দলগুলো সমর্থন জানিয়েছে। এনআরসি’র রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পরই নবান্নে তীব্র প্রতিবাদ করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
তৃণমূলনেত্রীর নির্দেশে সংসদের বাদল অধিবেশনে সেচ্চারিত হয়েছেন দলীয় সাংসদরা।
দেশজুড়ে যেভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলেছেন তৃণমূলনেত্রী তাতেই চরম ভয় পেয়েছে বিজেপি।