বিহারের গোপালগঞ্জের মুখচোরা ছেলেটা স্বপ্ন দেখলেও একটা সময় তিনি ভেবেছিলেন, খুব তাড়াতাড়ি সরকারি চাকরি জোগাড় করে মা-বাবার মুখে হাসি ফোটাবেন। বেশ কয়েকবার সেনবাহিনীতে ট্রায়ালও দিয়েছিলেন। কিন্তু সুযোগ মেলেনি। সেই ব্যর্থতাই জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল বাংলার পেসার মুকেশ কুমারের। তাই রঞ্জিতে তার সাফল্য উৎসর্গ করলেন তার বাবাকে।
প্রথম ইনিংসে লোকেশ রাহুল ও মণীশ পাণ্ডের মতো কর্ণাটকের দুই তারকা ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফিরিয়েই থামতে হয়েছিল মুকেশকে। তবে সাফল্যের খিদেটা কমেনি। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি দারুণভাবে জ্বলে উঠলেন। আর তাঁর আগুনে বোলিংই বাংলাকে খুব সহজে ফাইনালে উঠতে সাহায্য করল।
ইডেনের ড্রেসিং-রুমের বাইরে বসে মুকেশ জানালেন, “এটাই আমার সেরা পারফরম্যান্স। ফাইনালেও এরকম পারফর্ম করে বাংলাকে চ্যাম্পিয়ন করতে চাই। নির্বাচকদের দেখাতে চাই, আমরাও ভারতীয় দলে খেলার যোগ্য। আজ বাবার কথা খুব মনে পড়ছে। উনি না থাকলে আমি এই জায়গায় পৌঁছাতে পারতাম না। বাবাই আমাকে কলকাতায় নিয়ে এসেছিলেন ক্রিকেট খেলাতে। মৌলালিতে বাড়িও বানিয়েছিলেন। উনি আমাকে বলতেন, তোর কিছু হবে না। আসলে বাবা আমাকে রাগিয়ে দিতেন, যাতে আমার জেদ বেড়ে যায়। এই সাফল্য বাবাকেই উৎসর্গ করছি”।
