গত সপ্তাহের দিল্লী সঙ্ঘর্ষের ঘটনায় বিরোধীদের মধ্যে সবচেয়ে আক্রমণাত্মক মেজাজে রয়েছেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ইস্তফার দাবিতে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার সংসদে সুর চড়িয়েছেন তিনি। আর এই পরিস্থিতিতেই অধীর চৌধুরীর দিল্লীর বাড়িতে হামলা চালাল একদল দুষ্কৃতী। তাঁর বাড়ির নিরাপত্তারক্ষীদেরও মারধর করা হয়েছে। সূত্রের খবর, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিও খোয়া গিয়েছে অধীর বাবুর বাড়ি থেকে।
হামলা চলাকালীন অবশ্য বাড়িতে ছিলেন না কংগ্রেস সাংসদ। যদিও কংগ্রেসের অভিযোগের তির বিজেপির দিকেই। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র প্রেস বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘অধীর চৌধুরীর দিল্লীর বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। সংসদে অধীর যেভাবে দিল্লীর দাঙ্গার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে তার বদলা নিতেই এই কাপুরুষতা বলে আমরা মনে করছি। দিল্লীর আইন শৃঙ্খলার অবস্থা এমনই যে লোকসভার কংগ্রেস দলের দলের নেতার বাড়িতেও দুষ্কৃতীরা অবাধে আক্রমণ করছে।’
এখানেই না থেমে তিনি আরও বলেন যে, ‘এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কলকাতায় এসে বাংলায় সরকার গড়ার কথা বলেছেন। কিন্তু দেশের রাজধানীর এই ভয়াবহ অবস্থার কথা নিয়ে দেশের মানুষকে আশ্বস্ত করছেন না। আমরা অবিলম্বে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি। আগামী কাল এই ঘৃণ্য হামলার প্রতিবাদে কংগ্রেস এবং শাখা সংগঠনের কর্মীরা সব জেলায় ধিক্কার দিবস পালন করবে।’
যদিও সবকিছুর পরও অধীর চৌধুরীর মতো একজন দীর্ঘদিনের সাংসদের বাড়িতে কীভাবে হামলা হল, তা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। প্রশ্নের মুখে সাংসদদের নিরাপত্তাও। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার যখন অধীর বাবুর বাড়িতে হামলা হয়, তখন তিনি সংসদে ছিলেন। সূত্রের খবর, বাড়ির সামনে অধীরবাবুর একটা অফিস রয়েছে। সেখানেও দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দিল্লী পুলিশের বিশাল পুলিশবাহিনী। কীভাবে এই ঘটনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।