২০১৯ সালেই সবচেয়ে বেশি মন্দার কবলে পড়েছিল ভারতের গাড়ি শিল্প। কিন্তু ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে এসেও রাহুমুক্তি ঘটল না দেশের গাড়ি বাজারের। রবিবার একাধিক সংস্থা জানাল, গত মাসে দেশের বাজারে বিক্রি কমেছে তাদের যাত্রী গাড়ির। এর মধ্যে রয়েছে মারুতি-সুজুকি, টাটা মোটরস, মহীন্দ্রা অ্যান্ড মহীন্দ্রা, হুন্ডাইয়ের মতো সংস্থা। সেই সঙ্গে টাটা মোটরস, মহীন্দ্রা, এমজি মোটরের মতো সংস্থার দাবি, চিনে করোনাভাইরাসের প্রভাবে ধাক্কা খাচ্ছে কাঁচামাল আমদানি। যার জের পড়ছে তাদের গাড়ি তৈরিতে।
গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে গাড়ি বিক্রি ধাক্কা খাচ্ছে। আশা ছিল, উৎসবের মরসুম এবং তার পরে কিছুটা ঘুরে দাঁড়াবে এই শিল্প। কিন্তু তা হয়নি। বরং উৎসবে বিক্রি কমার হার কিছুটা বাধা পাওয়ায় হাল ফেরার যে আশা তৈরি হয়েছিল, পরের মাসগুলিতে তা ধরে রাখা যায়নি। গত মাসে দেশে মারুতির বিক্রি ১.৬ শতাংশ কমে হয়েছে ১,৩৬,৮৪৯টি। হুন্ডাইয়ের ৭.২ শতাংশ কমে ৪০,০১০টিতে। মহীন্দ্রার যাত্রী গাড়ির বিক্রি ২৬,১০৯ থেকে নেমেছে ১০,৯৩৮টিতে। দেশে টাটা মোটরসের মোট বিক্রি কমেছে ৩২ শতাংশ। একই ছবি বাণিজ্যিক গাড়ির ক্ষেত্রেও।
পরিস্থিতিতে শিল্প মহলের দাবি, মানুষের আর্থিক অবস্থা এতটাই অনিশ্চিত যে, গাড়ি কেনার লোক কমেছে। তার ওপরে আগামী এপ্রিল থেকে রাস্তায় বিএস-৬ দূষণ বিধির গাড়ি ব্যবহার বাধ্যতামূলক হচ্ছে। সূত্রের দাবি, দূষণ কমানোর লক্ষ্যে এটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলেও, এতে খরচ ৮-১০ শতাংশ বাড়ছে। তাদের মতে, বাড়তি খরচ চাহিদায় কোপ ফেলছে। এই পরিস্থিতি থেকে তাদের বার করতে বহুদিন ধরেই কেন্দ্রের তরফে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারিতে আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার, পুরনো গাড়ি বাতিলের জন্য জিএসটিতে ৫০ শতাংশ করছাড়ের মতো কড়া দাওয়াইয়ের দাবি করছে তারা।