দিল্লীর হিংসা নিয়ে সংসদ চত্বরে মৌন-প্রতিবাদ প্রদর্শন করলেন তৃণমূল সাংসদরা। চোখে কালো পট্টি, মুখে আঙুল দিয়ে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে প্রতিবাদ জানালেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, কাকলি ঘোষদোস্তিদার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, সুখেন্দু শেখর রায়েরা।
দিনকয়েক আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে মহাত্মা গান্ধীর সেই বিখ্যাত তিন বাঁদরের প্রতীকী মূর্তি উপহার দিয়েছিলেন প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার সেই ‘খারাপ দেখব না, খারাপ বলব না, খারাপ শুনব না,’ গান্ধীর এই তিন বাণী নিয়ে সংসদ ভবন চত্বরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশেই বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরা। চোখে কালো কাপড় বেঁধে, মুখে আঙুল দিয়ে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল সাংসদদের সঙ্গে আপ সাংসদরাও। হিংসায় ইন্ধন দেওয়ায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগ ও গ্রেফতারির দাবি জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে দেশে যত সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটেছে, তার সবেতেই ইন্ধন রয়েছে বিজেপির। বিজেপি হিংসার মাস্টার। আর রামায়ণে যেমন রাবণ ছিলেন, তেমনই দেশের রাবণ হলেন অমিত শাহ। অবিলম্বে তাঁকে গ্রেফতার করতে হবে।’
দিল্লীর ঘটনায় সংসদের কাজ বন্ধ রেখে আলোচনার দাবিতে এ দিন লোকসভায় মুলতুবি প্রস্তাব দেয় তৃণমূল, সিপিএম, সিপিআই, এনসিপি ও ডিএমকে। মুলতুবি প্রস্তাব পেশ করেন কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী কে সুরেশও। সুরেশ বলেন, ‘প্রশ্নোত্তর পর্ব বন্ধ রেখে দিল্লী হিংসা নিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়েছি।’
বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বে সংসদের দুই কক্ষ সোমবার মুলতুবি হয়ে যায়। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিহারের বাল্মিকী নগরের জেডিইউ-র সাংসদ বৈদ্যনাথ প্রসাদ মাহাতোর মৃত্যুতে দুপুর ২টো পর্যন্ত লোকসভা মুলতুবি হয়ে যায়। রাজ্যসভাও হইহট্ট গোলের জেরে মুলতুবি হয়। এরপর সংসদের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কংগ্রেস সাংসদরাও। দিল্লীর হিংসায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ইস্তফা চেয়ে প্রতিবাদ দেখান অধীর চৌধুরী, শশী থারুর-সহ অন্যান্য কংগ্রেস নেতারা। যোগ দেন ওয়াইনাডের কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী।