হেথায় আর্য, হেথা অনার্য, হেথায় দ্রাবিড় চীন-
শক-হুন-দল পাঠান-মোগল এক দেহে হল লীন।
এই ভারতে কে নাগরিক আর কে নয়, এনআরসি-সিএএ লাগু হওয়ার পর সেই নিয়ে আতঙ্কে ভুগছে গোটা দেশই। খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দেশজুড়ে এনআরসির দাবিতে সোচ্চার হলেও, চাপের মুখে জানিয়ে দিয়েছেন এখনই বিষয়টি নিয়ে ভাবনা চিন্তা করছেন না তাঁরা। এহেন পরিস্থিতির মাঝে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নাগরিকত্বের প্রমাণ চেয়ে আরটিআই করেছিলেন কলকাতার এক ব্যক্তি। তার উত্তরে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর দফতর জানিয়ে দিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নাগরিকত্বের কোনও কাগজপত্র নেই। জন্মসূত্রেই তিনি ভারতীয়।
জানা গিয়েছে, গত ১৭ জানুয়ারি শুভঙ্কর সরকার নামে এক ব্যক্তি তথ্যের অধিকার আইনে জানতে চান দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নাগরিকত্বের কোনও প্রমাণ রয়েছে কিনা। সম্প্রতি তার উত্তর দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের সচিব প্রবীণ কুমার জানান, ১৯৫৫ সালে নাগরিকত্ব আইনের ৩ ধারা অনুযায়ী নরেন্দ্র মোদী নরেন্দ্র মোদী জন্মসুত্রেই ভারতের নাগরিক। তবে এই বিষয়ে কোনও কাগজপত্র দেখায়নি প্রধানমন্ত্রী দফতর।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর আরটিআইয়ের সেই রিপোর্ট ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রশ্ন উঠছে, প্রধানমন্ত্রী নিজের কাগজ দেখাবেন না অথচ গোটা দেশবাসীর কাগজ কীভাবে চাইছেন? অনেকের মতে, আসামে এনআরসি চালু করা ও ডিটেনশন ক্যাম্পের পর প্রশ্ন উঠেছে নাগরিকত্বের প্রমাণ যদি চাওয়া হয় সেক্ষেত্রে কি জন্মনথিই নাগরিকত্বের প্রমাণ হবে? যদি তাই হয়, সেক্ষেত্রে দেশের বেশীরভাগ মানুষের কাছেই নেই সেই প্রমাণপত্র। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নিজেই কাগজ দেখাচ্ছেন না কেন, সেই প্রশ্নও উঠছে।